পাতা:বিপিনের সংসার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভোরের অতি সুন্দর মিষ্ট বাতাস । মাঠে ও পথের ধারে ছোট বড় গাছে সোদালি ফুলের ঝাড় ঝুলিতেছে, বিশেষ করিয়া কানসোনার মাঠে। রেলের ফটক পার হইয়া আবাদ তত নাই, ফঁাকা মাঠের মধ্যে চারিধারে শুধুই সোদালি ফুলের গাছ। কলাধরপুরের বিশ্বাসদের বাড়ীর চণ্ডীমণ্ডপে বিপিন একবার তামাক খাইবার জন্য বসিল । প্ৰতিবার রাণাঘাট ঠাইতে যাতায়াতের পথে এইটা তাহার বিশ্রামের স্থান। বিশ্বাসদের বাড়ির সকলেই বিপিনকে চেনে। বিশ্বাসদের বড়কর্তা রাম বিশ্বাস চণ্ডীমণ্ডপের সামনে পাটের দড়ি পাকাইতে ব্যস্ত ছিলেন । বিপিনকে দেখিয়া বলিলেন, এই যে আসুন চাটুজ্জে মশায়, প্ৰণাম হই । আজ যে বড় সকালে রাণাঘাট চলেছেন, মোকদ্দমা আছে না কি ? উঠে বসুন ভাল হযে। একটু চা ক’রে দিক ? --না না, চায়ের দরকার নেই। একটু তামাক খাই বরং । -আরে, তামাক তো খাবেনই, চা একটু খান। আত সকালে তো চা খেয়ে বেরোননি ? এখন সাতটা বাজে, আমিও তো চা খাব । বসুন, চার ক্রোশ রাস্তা হেঁটেছেন এর মধ্যে, কষ্ট কম হয়েছে ? একটু জিরোন । মানীর সঙ্গে ফিরিয়া আজ দেখা হইবে কি ? আর দেখা হওয{ সম্ভবও নয়। দেখা তইলেও কথাবাৰ্ত্তা তেমন ভাবে হইবে না । জামাইবাবু আসিবেন, কৰ্ত্তা বাডি রহিয়াছেন। তবুও একবার চেষ্টা করিয়া দেখিতে হইবে। বিশ্বাস মহাশয় চা ও মুড়ি আনিয়া দিলেন। বিপিন থাইতে খাইতে বলিল, এবার পাট ক বিঘে বুনলেন বিশ্বেস মশায় ? ASAJJ BBS ME BBD SSL0B BBB DBS DBDBD DDD DSDDSDDDD0S -পাষায না, দশ টাকা করে দুটো কৃষাণ, তা বাদে জোনমজুর তো 8 to