এতো জঁকিয়ে শ্ৰাদ্ধ করার কিছু নেই। কোনোরকমে শুদ্ধ, &\S3 সকালের দিকে মা চীৎকার করিয়া কঁাদিতে লাগিলেন দেখিয়া বিপিন বাড়ী হইতে বাহির হইয়া গেল। গ্রামেব মধ্যে কাহারও বাড়ীতে যাইতে ভাল লাগে না-সকলে সহানুভূতি দেখাইবে ‘আঙ্গা’, “উহু’ করিবে-বৰ্ত্তমান অবস্থায় বিপিনের তাহা অসহ্য মনে হইতে লাগিল। ভাবিয়া চিন্তিয়া সে আইনদিব বাড়ীতে গেল, পাশের গ্রামে । আইনন্দির বয়স একশত বছর হইলেও ( অস্তুতঃ সে বলে ) বসিষা থাকিবার পাত্র সে নয়। বাড়ীর উঠানে একটা আমডাগাছেব ছাযান্য বসিযা বৃদ্ধ জালের সুতা পাকাইতেছিল। -বাবাঠাকুর সকালে কি মনে করে ? বোসো-তামাক খাবা ? সাজি দাড়াও । আইনদির সঙ্গেই তামাক খাইবার সরঞ্জাম মজুত । সে চকমকি ঠুকিয়া সোল ধরাইযা হাতে করিয়া সোলার টুকরাটি কয়েকবার দোলাইয়া লইযা কলিকায় কাঠকয়লার উপর চাপিয়া ধরিলা । বিপিন বলিল-চাচা, দেশলাই বুঝি কখনো জ্বালাও না ? — ও সব আজকাল উঠেছে বাবাঠাকুর-ও সব তোমাদের মত ছেলে হোকরার কেনে। সোলা চকমকির মত জিনিষ আর আছে ? আপনি ভাল হয়ে বোসে । সেকালেব দু একটা গল্প কবি শোনো । ওই যে দুষ্ঠাখচোঁ অশািথ গাছ, ওর পাশের জমিটার নাম ছেল ফাসিতলার মাঠ। নীলকুঠিীর আমলে ওখানে লোকের ফাঁসি হোত। আমার জ্ঞানে আমি ফাসি হতে দেখেছি। তুমি আজ বলচো দিশলায্যের কথাদিশলাই ছেল কোথায় তখন ? তুষের আর ঘুটের আগুন মাগীনীরা মালস পুরে রেখে দিতো ঘরে।--আর পাকাটির মুখে গন্ধক মাখিয়ে এক আঁটি করে রেখে দিত মালসার পাশে । এই ছেল সেকালের S 8
পাতা:বিপিনের সংসার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৬
অবয়ব