পাতা:বিপিনের সংসার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অয়েল লইয়া গিয়াছিল, দুই সপ্তাহের মধ্যে সেই একমাত্র রোগী ও 喀闵帝顷日 মুদীর দোকানে বাকী পড়িতে লাগিল, ডাক্তারবাবু বলিয়া খাতির করে তাই ধারে জিনিষ দেয়, নতুবা কি বিপদেই পড়িতে হইত ! একদিন চুপ করিয়া বসিয়া আছে, প্ৰায় সন্ধ্যার সময় একজন লোক বিপিনের ডাক্তারখানার চালাঘরের সামনে দাড়ায় বলিল, এইটো কি ७{द्धांत्रैशंका ? বিপিনের বুকের মধ্যে কেমন করিয়া উঠিল ! -হঁ্যা, হঁ্যা, এসো, কেখেকে আসচো বাপু ? --আপনিই ডাক্তারবাবু? পোন্নাম হই। আপনাকে যাতি হবে নবোত্তমপুর। যদুবাবু ডাক্তার চিঠি দিয়েছেন, এই নিন। লোকটা একটা চিরকুট কাগজ বিপিনের হাতে দিল। বিপিন পড়িয়া দেখিল কলেরার রোগী, যদু ডাক্তার লিখিয়াছে তাহার স্যালাইন দিবার তোডজোড় নাই, বিপিনকে সে সব লইয়া শীঘ্ৰ আসিতে । বিলম্ব করিলে রোগী বঁচিবে না । স্যালাইন দিবার তোড়জোড় বিপিনেরও নাই। কিন্তু বিপিন একটা ব্যাপার বুঝি যা ঠিক করিয়া লইল । জলে লবণ গুলিয়া শিয়ার মধ্যে চুকাইয়া দিতে বেশি বেগ পাইতে হইবে না। চিকিৎসা করিবার সাহস আছে বিপিনের। সে বাহির হইবা পড়িল । --শোনো, আমার বাক্সটা নিয়ে চল, পাচ টাকা দিতে হবে কিন্তু-চলেন বাবু আপনি ৷৷ যদুবাবু যা বলে দেবেন, তাই পাবেন। রোগীর বাড়ীতে পৌঁছিয়া গৃহস্থের সাধারণ অবস্থা দেখিয়া বিপিন ভাবিল, ইহাদের নিকট হইতে পাঁচ টাকা তো দূরের কথা, এক টাকা কি আট আনা পয়সা লইতেও বাধে । যদু ডাক্তার বলিল, স্যালাইন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হয়, বিপিনবাবু। Str'S