-আমেয় জানি, নেবুর জানি, নংকার জানি--নংকার আচার বড় চমৎকার হয়, একবার খেয়েছিলাম--চিড়ে আর দুটো নেবেন ? -পাগল ! পেট ভরে গিয়েছে, দুধ জ্বাল দেওয়া হয়েচে একেবারো ঘন ক্ষীর করে খাওয়া শেষ করিয়া বিপিন বাহিরে আসিল । ভাবিল, বেশ মেয়েটি। এমন দয়া শরীবে, এমন মমতা, যেন নিজের বোনটির মত বসে বসে খাওয়ালে । মানীর কথা মনে পড়িল। মানী ও এই মেযেটি যেন এক ছাচে ঢালাই, তবে প্রভেদও আছে, মানী মনে প্ৰেম জাগায় আর এ জাগাষ caଷ୍ ଏଣ୍ଡ ଅକ୍ଟି । কিছুক্ষণ পরে মেযেটি একটা নেকডোয় জড়ানো গোটাকতক পান আনিয়া বিপিনের হাতে দিয বলিল, পান ক’টা নিযে যান, বন্দুরে জলতেষ্টা পাবে। পথের জল খাবেন না কোথাও, কবে ফিরবেন ? বিপিনই উঠানেই দাড়াইষা ছিল, বলিল, আজ আর বাড়ী যাবো ন' ভাবচি । --মেয়েটি অবাক হইয়া বলিল, যাবেন না ? --না, তাই বেলা দেখছিলাম। এখানে দাড়িযে । এত দেরিতে বেরুলে পথেই রাত হবে । --তবে যাবেন না। আজ। মিছিমিছ চি ড়ে খেলেন কেন, কষ্ট পাবেন। সারাদিন । -ফাকি দিয়ে চিাড়ের ফলার করে নিলাম। রোজ তো অদৃষ্টে এমন ফলার জোটে না মেয়েটি সলজ হাসিয়া বলিল, তা কেন, ভালবাসেন চিাড়ের ফলার ? কালই আবার খাবেন। বিপিনের ভারি ভাল লাগিল মেয়েটির এই R O R
পাতা:বিপিনের সংসার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০৪
অবয়ব