পাতা:বিপিনের সংসার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-খানিক বসিল । বেশ জ্যোৎস্না উঠিয়াছে-তিন চার দিন আগেও শাস্তি এ সময়টা তাহাকে চা দিতে আসিয়া গল্প করিয়াছে দাড়াইয়া দাড়াইয়া, রোজই করিত আজ সত্যই ফাকা ঠেকিতেছে, কিছু ভাল লাগিতেছে না । নিজের মনের অবস্থা দেখিয়া সে নিজেই আশ্চৰ্য্য হইয়া গেল । শান্তি তাহার কে ? কেউ নয়, দুদিনের আলাপ—এই তাে কিছুদিন আগেও সে ভাবিত, মানীর মত ভালবাসা জীবনে আর কাতারও সঙ্গে কখনো হইবার নয়-হইবেও না । মানী ছাড়া আর কাহাবও জন্য মন খারাপ তইতে পারে—এ কথা কিছুদিন পূর্বেও কেহ বলিলে সে কি বিশ্বাস করিত ? এখন সে দেখিয়া বুঝিতেছে মুনের ব্যাপার বড়ই বিচিত্র, কেহই বুলিতে পারে না কোন পথে কখন তুহার গ্ৰতি। বৃদ্ধ দত্ত মহাশয় ঠাণ্ডা লাগিব।ার ভয়ে আজকাল সন্ধ্যার পর বাহিরে আসেন না । আজ কি মনে কবিয়া তিনি বিপিনের রান্নাঘরে আসিয়া পডি পাতিয়া বসিয়া খানিক গল্পগুজব করিলেন। শান্তির কথাও একবার তুলিলেন, মেয়েটি আজ চলিযা গেল । কন্যা-সন্তানের মত সেবা যুদ্র কে করে, পুত্রবধূরাও তো আছে, তেমনটি আর কাচারও নিকট পাওযা যায় না, ইত্যাদি । - বিপিন বলিল শাস্থি বড় ভাল মেযেটি । --অমন চমৎকার সেবা আব্ব কারো কাছে পাইনে ডাক্তারবাবু। আমার এই বুড়ে বয়সে এক এক সময় সত্যই কষ্ট পাই সেবার অভাবে। কিন্তু ও এখানে থাকলে-আর ব্ৰাহ্মণের ওপর বড় ভক্তি । আপনার চাটুকু, জল খাবারটুকু ঠিক সমযে সব দেওয়া, সেদিকে খুব নজর । বাড়িতে যদি কোন দিন ভাল কিছু খাবার তৈরি হয়েছে, তবে আগে আপনার জন্যে তুলে রেখে দিত। দত্ত মহাশয় উঠিয়া গেলে বিপিন খাইতে বসিবার উদ্যোগ করল । এ সময়টা দু একদিন শান্তি দালানের জানালায় দাড়াইম্বা তাহাকে R R *