পাতা:বিপিনের সংসার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রেখে । আমি তখন সবে আঠারোতে পা দিয়েছি, মাথার ওপর কেউ নেই। টাকা উভুতে আরম্ভ ক’রে দিলাম, পড়াশুনা ছাড়লাম, বিষয়সম্পত্তি নগদ টাকা পেয়ে কম দরে মৌরসী বিলি করতে লাগিলাম। বদখেয়ালের পরামর্শ দেবারও লোক জুটে গেল অনেক । কতদূর যে - CRT지 C -- মানী একমনে শুনিতেছিল, শিহরিয়া উঠিয়া বলিল, বল কি বিপিনদা ! --তোর কাছে বলতে আমার কোনও সঙ্কোচ নেই, সঙ্কোচ হ’লেও কোনও কথা লুকোব না। আজ এত দুঃখু পাব কেন মানী, এখানে চাকরি করতে আসব কেন ? কিন্তু এখন বয়েস হযে, বুঝেছি, কি ক’রেই হাতের লক্ষ্মী ইচ্ছে ক’রে বিসর্জন দিয়েছিলাম তখন ! --তারপর ? --তারপর ওই যে বলছিলাম, নানা রকম বদখেয়ালে টাকা গুলো এবং বিষয়-আশয় জলাঞ্জলি দিয়ে শেষে পডলাম ঘোর দুর্দশায । খেতে পাই নে—এমন দশায় এসে পৌঁছুলাম । মানীর মুখ দিয়া এক ধরণেব অস্থািট বিস্মষ ও সহানুভূতিৰ স্বব বাহির হইল, বোধ হয তাহাব নিজের ও অজ্ঞাতসাবে । বিপিনেব। বড় ভালো লাগিল মানীর এই দবদ ও তাঁহার সতেজ সাইজ সজীব সহানুভূতি । -সে সব কথাগুলো তোর কাছে বলব না । মিছে তোর মনে কষ্ট দেওয়া হবে । এই রকমে দেড় বছর কেটে গেল, তারপব তোব বাবাব কাছে এলুম। চাকরির চেষ্টায, চাকরি পেয়েও গেলাম। এই হ’ল আমার ইতিহাস । তবে এ চাকবি পোষাবে না, সত্যি বলছি । এ আমাব অদৃষ্টে টিকবে না। দেখি অন্য কোথাও ভাগ্য পরীক্ষা ক’বে- মানী অত্যন্ত একমনে কথাগুলি শুনিতেছিল । গম্ভীর মুখে বলিল, একটা কথা আমার শুনবে ? 6ةf-س- R 8