পাতা:বিপিনের সংসার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নায়েবকে ঘি যোগাড় করিবার ভার দিয়াছিলেন। বিবাহের পূর্বনি ট্রেনে বিপিনের বাবা তিন টিন গাওয়া ঘি, তিন টিন ঘানি-ভাঙা সরিষার তৈল, তরিতরকারি, কয়েক হাড়ি দই লইয়া জমিদার-বাড়ি রওনা হইলেন। বিপিন যাইতে চাহিল না দেখিয়া তাহার বাবা ও মা কিছু আশ্চৰ্য্য হইয়াছিলেন। বিপিন তখন গ্রামের মাইনর স্কুলে তৃতীয় পণ্ডিতের পদে সবে ঢুকিয়াছে, মাত্র কুড়ি বছর বয়সী। তারপর সব একরকম চুকিয়া গিয়াজিল। আজ সাত বছর আব মানীর সঙ্গে তাহার দেখাশুনা হয় নাই। তারপর কত কি পরিবর্তন DD SBB BBDBD BBB BBBBS SDDDB BB DDDSDDDDSDDD পড়িয়া সে কি বদখেয়ালিটাই না করিল । বাবার সঞ্চিত কঁচা পয়সী। হাতে পাইয়া দিনকতক সে ধরাকে সারা দেখিয়া বেড়াইতে লাগিল । তারপর তাহার নিজের বিবাহ হইল, বিবাহের বছরখানেক পরে বিপিন হঠাৎ একদিন আবিষ্কার করিল যে, সে সম্পূর্ণরূপে নিঃস্ব, না আছে হাতে পয়সা, না আছে তেমন কিছু জমিজমা । সে কি ভয়ানক অভাবঅনটনের দিন আসিল তারপরে । সচ্ছল গৃহস্থের ছেলে বিপিন, তেমন অভাব কখনও কল্পনা করে নাই ! ধাক্কা থাইয়া বিপিন প্ৰথম বুঝিল যে, সংসারে একটি টাকা খরচ করা যত সহজ, সেই টাকাটি উপার্জন করা তত সহজ নয়। টাকা যেখানে সেখানে পড়িয়া নাই, আয় করিয়া। তবে ঘরে আনিতে হয়। কিছুকাল কষ্টভোগের পর বিপিন প্ৰতিবেশীদেব পরামর্শে বাবার পুরানো চাকুরিস্থলে গিয়া উমেদার হইল। অনাদিবাবু বিপিনের বাবাকে যথেষ্ট ভালবাসিতেন, এক কথায় বিপিনকে চাকুরি দিলেন । আজ প্ৰায় এক বছরের উপর বিপিন এখানে চাকুরি করিতেছে। কিন্তু তাহার এ চাকুরি আদৌ ভাল লাগে না । যত দিন যাইতেছে, ততই বিপিনের বিতৃষ্ণ বাড়িতেছে। চাকুরির উপর। ইকার অনেক Noe