পাতা:বিপিনের সংসার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নামিয়া আসিয়া বলিল, দাদাবাবু যে ! কখন আলেন ? আপনি সেই কোথায় নায়েবী করািচ শুনেলাম, তাই ইদিক বড় একটা যাওয়া আসা কর না বুঝি ? আইনদি বলিল, বাবা ঠাকুরকে একটা বড় দেখে কুমড়ো এনে দে দিকি । ওই পূবির বেড়ার গায়ে যে কটা বড় কুমড়ো আছে, তা থেকে একটা আন । -হাদে, দূর দূর্ব, ওই দেখ বাবাঠাকুর, এক ঝাক বাবুই এসে জুটল আবার ! সুমুন্দির পাখীগুনে তো বডড জ্বালালে দেখচি !-বলিয়া আইনদি নিজেই টিনের কানেস্তারা বাজাইতে লাগিল । বেলা পডিয়া রাঙা রোদ কতক জলি ধানের বিস্তীর্ণ ক্ষেতে, কতক বিলের বাবল-বনে পড়িয়ছে, আইনদির নাতি বিলের উপরের ডাঙায় কুমড়ো-ক্ষেত হইতে সুকণ্ঠে গাষ্টিতেছে যখন ক্ষ্যাতে ক্ষাতে ব’সে ধান কাটি ७ 6भाद्र भtन अi८%ा उाद्र क्राधाम ठूछे - বাবুইপাখীর ঝাক বোধ হয় বুঝিতে পারিয়াছে, বৃদ্ধ আইনদি তাঙ্গাদের কিছুই করিতে পারবে না ; সুতরাং ত্যাহারা নিব্বিবাদে আবার অসিয়া জুটিতে লাগিল । আইনদির নাতির গানের কয়টি চরণ শুনিয়াই বিপিন আবার অন্যমনস্ক হইয়া গেল। সেই দিগন্ত বিস্তীৰ্ণ মঠ, বিল ও বিলের ধারে ধারে সবুজ জলি ধানের ক্ষেত, উপরে এবং নীচে নাচের ধরণে উড্ডীয়মান বাবুইপাখীর বাক, বিলের ধারের জলে শোলাগাছের হলদে ফুলের রাশি, হরিদাসপুরের বাশবনের মাথায় হেলিয়া-পড়া অস্তমান সুৰ্য, সব মিলিয়া তাহার মনে এক অপূর্ব ব্যথা ভরা অনুভূতির সৃষ্টি করিল। যেন মনে ঠাইল, মানীকে এ জগতে বুঝিবার ভালবাসিবার লোক নাই । মানী যাঙ্গার হাতে পড়িয়াছে, সে মানীর মূল্য বোঝে নাই। মানীর apartmenter rathylture m Šტ Ó