বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিপিনের সংসার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

W) মনোরম আর এক বিপদে পডিয়াছে । বীণা-ঠাকুরঝি বয়সে তাহার অপেক্ষা দুই বছরের ছোট । বিধবা হওয়ার পরে এই সংসারেই আছে, শ্বশুরবাড়ি যায় না, কারণ শ্বশুরবাড়িতে এমন কেহ আপনার জন নাই যে, তাহাকে লইযা যায় । উনিশ বছর বয়সে বিধবা হয়, এখন বছব একুশ-বাইশ বয়স। মনোরমার নিজের বয়স চব্বিশ । সে কথা যাক । এখন বিপদ হইয়াছে এই, আজ প্ৰায় ছয় সাত মাস ধরিয়া মনোরমা লক্ষ্য করিতেছে, গ্রামের তারক চাটুজ্জের ছেলে পটল যখন তখন ছত্যুনাতায় এ বাডিতে যাতায়াত করে এব” বীণার সঙ্গে মেলামেশা করে । ইহাতে মনোরম প্ৰথমে কিছু মনে কবে নাই, সে শহরবাজারের মেয়ে, তাহার বাপের বাড়িতেও বিশেষ গোড়ামি নাই ও বিষযে । ছেলে আবে মেযে একসঙ্গে মিশিলেই যে খারাপ হইযা যাইবে, সে বিশ্বাস তাঙ্গার জ্যাঠামশায়ের নাই সে জানে। মনোরমা বাবাকে দেখে নাই, জ্যাঠামশায়ই তাহাকে মানুষ করিযাছেন। কিন্তু এ ঠিক সে রকমের নয়। সন্দেহ একদিনে হয নাই । একটু একটু করিয়া বহুদিনে হইয়াছে। বিবাহ হইবার পরে এ বাড়িতে আসিয়া মনোরম পটলকে এ বাড়িতে তিত আসিতে দেখিত না, যত সে দেখিতেছে আজ প্ৰায় বছরখানেক । তাহার মধ্যে ছয় সাত মাস বাড়াবাড়ি । বীণা-ঠাকুরবিও আজকাল যেন পটল আসিলে কি রকম চঞ্চল হইয়া উঠে। রাধিতে বসিযাছে, হত্ষতো ዓx9