পাতা:বিপিনের সংসার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পটলের গলার স্বর শোনা গেল দালানে, শাশুড়ীর সঙ্গে কথা কহিতেছে । এদিকে বীণা হয়তো এক ঘণ্টার মধ্যে রান্নাঘর হইতে বাহিয়া হয় নাই, কোনও না কোনও ছুতা খুজিয়া সে রান্নাঘর হইতে বাহির হইবেই। দালানে যাইয়া পটলের সঙ্গে খানিকটা কথা কহিয়া আসিবেই। এ মাত্র একটা উদাহরণ, এ রকম অনেক আছে। छेच्छ्i'& न शश्च भ८नiद्भभ न क्षद्रिव्यः । একদিন সিড়ির পাশে অন্ধকারে সন্ধ্যাবেলায় দাড়াইয়া সে দুইজনকে চুপি চুপি কি কথাবাৰ্ত্তা বলিতে দেখিয়াছে। শাশুড়ী সন্ধ্যার পর ভাল চোখে দেখেন না, নিজের ঘরে খিল দিয়া জপ-আহ্নিক করেন ঘণ্টাখানেক কি তাহারও বেশি, সে নিজেও এই সময়টা ছেলেমেয়ের তদারক করিতে, রাত্রের রান্নার যোগাড় করিতে ব্যস্ত থাকে, আর ঠিক কিনা সেই সময়েই আসিবে ওই পোড়ারমুখো পটল চাটুজ্জে ! বীণা-ঠাকুরঝিও যেন লুকাইয়া দেখা করিতে আগ্ৰহ দেখায়, ইহার প্ৰমাণ সে পাইয়াছে। অথচ পটলের বয়স ত্ৰিশ বত্ৰিশ কি তারও বেশি ; পটল বিবাহিত, তার ছেলেমেয়ে চার পাচটি। তাহার কেন এত ঘন ঘন যাওয়া-আসা এখানে, একজন অল্পবয়সী বিধবার সঙ্গে এত কথাবাৰ্ত্তাই বা তাহার কিসের ? বিশেষ যখন বাড়িতে কোন পুরুষমানুষ আজকাল খাকে না । বলাই তো এতদিন হাসপাতালেই ছিল, শাশুড়ী চোখে দেখেন না, তঁহার থাকা না থাকা দুই ቖጸቫዝጓ ! বীণা-ঠাকুর ঝির সঙ্গে এ কথা কহিয়া কোন লাভ নাই। মেয়েমানুষের মন দিয়া মনোরম তাহা বুঝিয়াছে। বীণা কথাটা উড়াইয়া দিবে, অস্বীকার করিবে, পরে রাগ করিবে, ঝগড়া করিবে । শাশুড়ীকে বলিয়াও কোন লাভ নাই । তিনি অত্যন্ত সরল, বিশ্বাস কবিবেন না, বিশেষ করিয়া তিনি নিরেট ভালমানুষ, তঁহার কথা ዓ8