পাতা:বিপিনের সংসার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যাহাতে এক সপ্তাহ চলে। শাশুড়ী রাত্রে একটু দুধ ছাড়া কিছু খান না, সহ্য হয় না। বীণা রাত্রে না খাইয়া কষ্ট পাইত, মনোবামা তাহা সহ্য করিতে পারিত না । সে অত্যন্ত গোছালো সংসারী মানুষ, তাহার স”সারে কেহ কষ্ট পাষ, ইহা সে দেখিতে পারে না । তবে আজকাল আবার বলাইয়ের অসুখ হইয়া মুস্কিল বাধিয়াছে, বীণার জন্য তোলা অ্যাটায় তাচাকে ও রুটি করিয়া দিতে হয় রাত্রে । অথচ বেশি করিয়া আনিবার পয়সা নাই । বিপিন যে টাকা পাঠায়, তাহাতে সব দিকে সন্ধুলান হওয়া দুষ্কর। বেশি পয়সা চাহিলেও বিপিন দিতে পারে না । BBDBDBK DB BB BDBDD D DtBDBD SDBBD DBBDD DS ঘটিয়া উঠে না । সবাই সুখে থাকুক, মনোরমার সে দিকে অত্যন্ত নজর । পটলের সহিত বীণাব মেলামেশা ঠিক এই কারণেই তাহার মনে উদ্বেগের সৃষ্টি করিয়াছে । কি হইতে কি হইবে, সংসারটি ওলট-পালট তইয়া যাইবে মাঝে পড়িয়া, এসব পাড়াগাযে একটুখানি কোন কথা লোকের কানে গেলে টি ঢ়ি পড়িয়া যাইবে, সে তাহা খুব ভালই বোঝে। এখন কি করা যায়, তাতাই শুই যা উঠিয়াছে মনোরমার মস্ত সমস্যা । আজ সাহস করিয়া মনোরমা কথাটা পনের কাছে পাডিবে ভাবিয়া বলিল, শোন, একটা কথা বলি । বিপিনের মেজাজ ভাল ছিল না । বিরক্তির সুরে বলিল কি কথা ? মনোরমা ভযা পাইল। বিপিনের মেজাজ সে খুব ভালই বোঝে । আজি এইমাত্ৰ সন্ধ্যা বেলা তো আগুনের মালসী লইযা একপালা হইয়া গিয়াছে, থাকগে, কাল কি পরশু কি আর একদিন-, এত তাড়াতাড়ি কথাটা স্বামীকে শুনাইবার কোনও কারণ উপস্থিত হয় নাই । আজ অন্তত দরকার নাই ।