বলিতে লাগিল, মাত্র কয়েক ঘণ্টা ছিলুম। কিন্তু করে এসেচি অনেক ! এক ৰছরে করতে পারিনি মিনিট পাঁচ-ছয়েই তা হয়ে গেল। সুধীরের সঙ্গে শেষ করে এলুম। বিপ্রদাস আশ্চৰ্য্য হইয়া বলিল, বলে কি ! হ্যা, তাই। কিন্তু ওকে অকুলে ভাসিয়ে দিয়ে আসিনি। আজ সকালে । মেয়েটিকে দেখেছিলেন তার নাম হেম । হেমনলিনী রায় । ওর জিন্মাতেই সুধীর দিয়ে এলুম। আবার আমার সেই বোম্বায়ের কলের কথাই মনে পড়ে, তার মতো। ওদে ওখানেও ভালবাসার টানা-পোড়েন দেখতে দেখতে মানুষের ভবিষ্যৎ গড়ে ওঠে । আবা ভাঙেও তেমনি । বিপ্ৰদাস তেমনি বিস্ময়ে জিজ্ঞাসা করিল- ব্যাপারটা হ’লো কি ? সুধীরের স.ে হঠাৎ শেষ করে আসার মানে ? বন্দনা কহিল, শেষ করার মানে শেষ করা । কিন্তু তাই বলে ওখানে হঠা বলেও কিছু নেই। ওদের তাল অসম্ভব দ্রুত বলেই বাইরে থেকে ‘হঠাৎ’ বলে ভ্ৰ হয়, কিন্তু আসলে তা নয়। সুধীর আমাকে ডেকে বললে অমাব অত্যস্ত অন্যা হয়েচে । বললুম, কি অন্যায় হয়েচে সুধীর ? সে বললে, কাউকে না বলে - অর্থ: তাকে না জানিয়ে -অকস্মাৎ এ-বাড়ীতে চলে আসা আমার খুব গৰ্হিত কাজ হয়েচে বিশেষতঃ সেখানে বিপ্ৰদাসবাবু ছাড়া আর কেউ নেই যখন । বললুম, সেখা.ে অন্নদাদিদি আছে। সুধীর বললে, কিন্তু দে দাসী ছাড়া আর কিছুই নয় । আর্ট বললুম, ও-বাড়ীতে তঁকে দিদি বলে সবাই ডাকে। শুনে সেই হেম মেয়েটি মু টিপে একটু হেসে বললে, পাড়াগাঁয়ে ও-রকম ডাকার রীতি অাছে শুনেচি, তাৰে দাসী-চাংকরের অহঙ্কার বাড়ে, আর কিছু স্বাড়ে না । তারা নিজেরাঙ বড় হয়ে ও ন! ! সুদীর বললে, এদের কাছে তুমি বলেচে যে এখানে থাকতে পারবেন। রাত্রেই ফিরে যাবে ; কিন্তু সে-বাড়ীত্বে তোমাব একলা থাকাটা আমরা কেউ পছন করিনে। তোমার বাবা শুনলেই বা কি বলবেন ? বললুম, বাবা কি বলবেন । ভাবনা তোমার নয়। আমার । কিন্তু আরও ধারা পছন্দ করেন না। তাদের মধ্যে বি তুমি নিজেও আছ? হেম বললে, নিশ্চয়ই আছেন । সকলকে ছাড়" ত উনি নন। এই মেয়েটার গায়ে-পড়া মন্তব্যের উত্তর দিতে ইচ্ছে হ’ল না, তাই সুধীরকে বললুম। তোমার এ কথার জবাবে আমিও বলতে পারতুম যে সুনৰ্থক ছুটি নিয়ে তোমার কলকাতায় থাকাটা আমিও পছন্দ করিনে, কিন্তু সে কথা আমি বঁটাৰ না। তুমি যে নোঙরা ইঙ্গিত করলে তা ইতর সমাজেই চলে, কিন্তু তোমাদের বন্ধু-দাদী-৫ যে সে সমান সচল এ আমি জানতুম না, কিন্তু আর আমার সময় নেই, গাড়ী দাড়িয়ে রয়েচে
