পাতা:বিপ্রদাস - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিদির কথা শুনিয়া বন্দন মুহুর্তের জন্য মুখ তুলিয়া চাহিল, বলিল, যুক্তি দেখি কঁদতে হবে। নইলে মানুষ কঁ:দবে না, তোমার যুক্তিটা বুঝি এই মেজদি ? সতী হাত দিয়া তাহার মাথাটা নাড়িয়া দিয়া সস্নেহে কহিল, তর্কবাগীশের স্যা তর্কে পারিবার জো নেই। তা বলিনি রে, তা আমি বলিনি । ওরা ভেবেচে আম, বুঝি সব গেলো, তাই ওদের কান্না, কিন্তু সত্যি তা নয়। আমার এক দিয় রয়োচেন স্বামী অন্য দিকে ছেলে - সংসারে কোন ক্ষতিই আমার হয়নি ভাই, আমি জন্যে তুই শোক কারিসনে । দুঃখ আমার নেই । বন্দন বলিল, দুঃখ যেন তোমার না-ই থাকে মেজদি । কিন্তু তোমার দুঃখট সংসারে সব নয় । তোমার কতখানি োলে সে তুমি জানো, কিন্তু কেঁদে কেঁ যারা চোখ অন্ধ করলে তাদের লোকপািন কে পুরোবে বলে তা ? একটু থামিয়া বলিল, মুখুয্যেxশাই পুরুষমানুষ, যা খুশি উনি বলুন, কি ব্যাপার ক্ষণে আজ শুকনো চোখে যেন তুমি বিদায় নিও না দিদি । সে ওদের ধ বি ধবে । কাদের বিধবে রে বন্দন ? কাদেৱ ?? জানো না তুমি তাদের ? তোমার ন’বছর বয়সে এসেছিলে এ পরের বাড়ীতে, সেই বাড়ীতে বছরের পর বছর ধরে তোমাক্স আপনার করে দি৷ ঘারা, আজকের একটা ধাক্কাতেই তাদের ভুলে গেলে মেজদি ? তোমার শাশুড় তোমার দেওর, তোমার সংসারে দাস-দাসী, আশ্ৰিত-পরিজন, ঠাকুরবাড় অতিথিশালা, গুরু-পুরুত—এদের অভাব পূর্ণ হবে শুধু স্বামী-পুত্র দিয়ে ? আর কে নেই জীবনে-শুধু এই ? বন্দনী বলিতে লাগিল, এ কাদের মুখে : কথা জানো মেজদি, যে সমাজে আমি মানুষ হয়েচি তাদের । তুমি ভেবেচে স্বামী-ভক্তির এই শেষ কথা ? স্ত্রীর ও বড়ো ভাববার কিছু নেই? এ ৩োমার ভুল। কলকা :ায় চলে আমার মাদী বাড়ীতে, দেখবে এ-কথা সে” নে পুকনো হয়ে আছে-এর বেশি তারা ভাবে না, করেও না। অথচ, -কথার মাঝখানে সে থামিয়া গেল । তাহোৱা হঠ মনে হইল কে যেন পিছনে দাড়াইয়া, ফিরিয়া দেখিল দ্বিজদাস। কখন যে নিঃশব্দে আসিয়া দাড়াইয়াছে উভয়ের কেহই টের পায় নাই। লজ্জা পাই বন্দনা কি-যেন বলিতে গেল, দ্বিজদাস থামাইয়া দিয়া কহিল, ভয় নেই, মাসীকে চিনিনে তঁর দলের কাউকেও জানিনে-আপনার কথা তাদের কাছে প্ৰকাশ পা না। কিন্তু আসলে আপনার ভুল হচ্চে। পৃথিবীতে জন্তু জানোয়ারের দল আ!ে Ystyr