বেী যেমন হয়েচে আর একটি তেমনি হলেই আমার চলে যাবে। নইলে বিষ্ঠের গুমোরে সে যে মনে মনে গুরুজনদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করবে। সে হবে না। বিপ্লদাস বুঝিল জেরার জবাবটা মায়ের এলো-মেলো হইয়া যাইতেছে, হাসিয়া কহিল, সে ভয় ক’ৱো না মা। বিদ্যা যাদের কম, গুমোৱ হয় তাদেরই বেশি, ও ৰাপের কাছে সত্যি সত্যিই ৰৰি কিছু শিখে থাকে আচার-আচরণে সকলের নিচু হয়েই থাকবে তুমি দেখ । যুক্তিটা মা অস্বীকার করিতে পারিলেন না, বলিলেন, একথা তোস্ত্ৰ সত্যি, কিন্তু আগে থেকে জানৰ কি করে বল ? তা ছাড়া, আমাদের পাড়াগাঁয়ে বিষ্ঠের কমবেশী কেউ যাচাই করতে আসে না, কিন্তু বৌ দেখতে এসে সকলে যে নাক তুলে বলবে বুড়ে-ম্যাগীৰ কি চোখ ছিল না যে অমন বৌয়ের পাশে এই বৌ এনে দাড় করালে । এ আমার সইবে না। বাবা । বিপ্রদাস ক্ষণকাল মৌন থাকিয়া কহিল, কিন্তু অক্ষয়ুবাবুকে ত একটা জবাব দিতে হবে মা। সেদিন তাকে ভরসা দিয়েছিলুম, আমার মায়ের বোধ হয় অমত হবে না। শুনিয়া দয়াময়ী ব্যস্ত হইয়া উঠিলেন, বলিলেন, ও কথা না বললেই ভাল হ’ত্ত বিপিন। তা সে যাই হোক, বৌমার মত কি হচ্ছে আগে শুনি, তার পরে তঁকে বললেই হবে ৮ বিপ্ৰদাস কহিল, অক্ষয়বাৰু আমাদের নিতান্তু পর নয়। এতদিন পরিচয় ছিল না বলেই তা প্ৰকাশ পায়নি । কিন্তু আত্মীয়তার জন্যেও বলিনে, কিন্তু তোমার আৰু এক ছেলের যখন বিয়ে দিয়েছিলে, নিজের ইচ্ছেতেই দিয়েছিলে, অন্য কাউকে জিজ্ঞাসা করতে যাওনি । আর এর বেলাতেই কি যত মত-জানাজানির দরকার হ’ল মা ? তর্কে হারিয়া দয়াময়ী হাসিমুখে বলিলেন, কিন্তু এখন যে বুড়ো হয়েচি বাবা, আর কতকাল বঁচিব বল ত ? কিন্তু চিরকাল ষাকে নিয়ে ঘর করতে হবে তার মত না নিয়ে বিয়ে দিতে পারি? না না, দুদিন আমাদের তুই ভাবতে সময় দে ! বলিয়া তিনি বাহির হইয়া গেলেন । বাহিরে আসিয়া দয়াময়ী নিজের ঘরের দিকে না, গিয়া বেহাইয়ের ঘরের উদ্দেশে চলিলেন। এই কয়েক দিনের ঘনিষ্ঠতায় বন্দনার পিতার কাছে তাহার অনেকটা সঙ্কোচ কাটিয়া গিয়াছিল, প্রায়ই নিজে আসিয়া তাহার তত্ত্ব লইয়া যাইতেন-এদিকে সন্ধ্যা উত্তীর্ণ হইয়াছে, আহিকে বসিলে শীঘ্ৰ উঠিতে পরিবেন না ভাবিয়া তাহার ঘৱে আসিয়া ঢুকিলেন-কেমন আছেন কথাটা সম্পূর্ণ হইতে পারিল না। ঘরের অপর প্রাস্তে বসিয়া একটি সুদৰ্শন যুবক বন্দনার সহিত মুম্বুকণ্ঠে গল্প করিতেছিল, নিখুত সাহেবি পোষাকের এই অপরিচিত
