পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করার সময় সমস্যা ছিল।

অনুশীলন সমিতির মত আর একটি সমিতি ছিল যার নাম ‘আত্মোন্নতি,’ এর সংগঠক মধ্য কোলকাতার বিপিন গাঢ় অনুকূল মুখার্জী। বাঙ্গলাদেশের মত মহারাষ্ট্রেও কয়েক সমিতি গঠিত হয়েছিল। মহারাষ্ট্রের নেতা ছিলে ভ্রাতৃদ্বয় ও চাপেকার ভ্রাতৃদ্বয়। এই সময়েই কাথিওয়াস্বামী কৃষ্ণ বর্মা লণ্ডনে গিয়ে উপস্থিত হন। তিনি লণ্ডনের বাসিন্দা ম্যাডাম কামা নামে এক ধনী পার্শী লণ্ডনে থেকে স্থানীয় ভারতীয় যুবকদের যথেষ্ট সাহায্য করতে থাকেন। এই প্রসঙ্গে আরও দুইজনের নাম করতে হয়। তাঁরা হলেন যতীন বন্দোপাধ্যায় ও শশী রায় চৌধুরী। যতীন বন্দোপাধ্যায়ের গুপ্ত নাম ছিল 'উপাধ্যায়।’ তিনি এই ছদ্মনামে বরোদারাজ্যের ঘোড়সওয়ার বাহিনীতে যোগদান করেন এবং সামরিক কায়দাকানুনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন। বলতে গেলে তিনিই ছিলেন গুপ্ত-সমিতি গঠনের মন্ত্রণাদাতা। অরবিন্দ, বারীন, যতীন (বাঘা), সর্দার অজিত সিং প্রভৃতি সকলেরই পরামর্শ ও উৎসাহদাতা ছিলেন এই 'উপাধ্যায়' মহাশয়। পরে অবশ্য তিনি সন্ন্যাসধর্ম অবলম্বন করেন ও নাম নেন নিরালম্ব স্বামী। শশী চৌধুরী সামান্য স্কুলমাষ্টার হয়েও গোপনে ও নীরবে যে ভাবে কাজ করে চলেছিলেন তা সত্যই প্রশংসার যোগ্য। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল জনসাধারণকে স্বাদেশিকতায় উদ্দীপিত করে তোলা। তাই গণ সংযোগ ও গণশিক্ষার আদর্শে তিনি কোলকাতার চারপাশে শ্রমিক 8