পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

আনন্দমঠের প্রভাব আছে। তাই অরবিন্দ যখন নেতৃত্বে নামলেন তখন তাঁর এক হাতে তরবারী অন্য হাতে গীতা। দেখা যাচ্ছে অরবিন্দ গোঁড়া হিন্দু। বন্দেমাতরম্ পত্রিকায় (২২ শে আগষ্ট ১৯০৭) অরবিন্দ লিখছেন—“Can I be false to the fundamental message of my religion thy civilisation and its philosophy? I am a Hindu I am a nationalist.” যাই হোক অরবিন্দ যে প্রথম বিপ্লবের অগ্নিমন্ত্রে দেশকে দীক্ষিত করেছিলেন সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। মাত্র ৩০ বৎসর বয়সে বরোদা থেকে বাংলা দেশে এসে মেদিনীপুরে নিজ হাতে বন্দুক ছোড়া শিখিয়ে তিনি গুপ্ত সমিতির প্রবর্তন করেন। ছোট ভাই বারীন্দ্র অরবিন্দের অনুগামী মাত্র। পূবেই বলেছি যে বারীন্দ্রের দলের হাতে ছিল যুগান্তর পত্রিকা। এই যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন ভূপেন দত্ত মশাই (অধুনা ডাঃ ভূপেন দত্ত)। প্রথমে অরবিন্দের চেষ্টায় ছোটলাট ফুলারকে বধ করবার চেষ্টা হয়েছে, এবং ব্যর্থ হয়েছে। এই চেষ্টা ব্যর্থ হবার পর অরবিন্দ দেশবন্ধু প্রতিষ্ঠিত জাতীয় শিক্ষা পরিষদের অধ্যক্ষ রূপে এবং বন্দেমাতরম্ পত্রিকার সম্পাদকরূপে যোগদান করলেন। যুগান্তর পত্রিকায় কয়েকটি বিপ্লবমূলক লেখা প্রকাশিত হওয়ায় ভূপেন দত্ত পুলিসে ধরা পড়লেন। বন্দেমাতরম্ পত্রিকায় তার ইংরাজী তর্জমা বার হল (বন্দেমাতরম্ পত্রিকা ইংরাজীতে প্রকাশিত হত) এবং সেই সঙ্গে India for the Indians নামে এক