পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

প্রবন্ধ লিখলেন অরবিন্দ। এই অপরাধেই অরবিন্দ ধরা পড়লেন। দেশময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল। রবীন্দ্রনাথ, তাঁর বিখ্যাত কবিতা— ‘অরবিন্দ, রবীন্দ্রের লহ নমস্কার’ রচনা করলেন এবং সে কবিতা বন্দেমাতরম্ পত্রিকায় ছাপা হল।

 বন্দেমাতরম্ পত্রিকায় সম্পাদক সঙ্ঘে বিপিনচন্দ্রের নাম ছিল বটে কিন্তু অরবিন্দের নাম অপ্রকাশিত ছিল। কাজেই সম্পাদক হিসাবে বিপিনচন্দ্র ও সন্দেহভাজন হিসাবে অরবিন্দ উভয়েরই বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বার হল। প্রেসিডেন্সী ম্যাজিষ্ট্রেট কিংসফোর্ডের আদালতে বিচার শুরু হল। নিষ্ক্রিয় প্রতিরোধের প্রবর্তক ও প্রথম প্রচারক বিপিনচন্দ্র প্রকাশ্য আদালতে বললেন— I have conscientious objections against taking part in a prosecution which I believe to be unjust and injurious to the cause of popular freedom and the interests of public peace. এই মামলায় কোনও কথা বলতে, কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে তাঁর বিবেকে বাধে—বিপিনচন্দ্র প্রকাশ্য ভাবে তা বললেন। এই নিষ্ক্রিয় প্রতিরোধের মধ্যেই এক সক্রিয় প্রতিরোধ ঘটে গেল। ঐ দিন আদালত প্রাঙ্গনে জমায়েত জনতাকে পুলিশ বলপ্রয়োগে সরাবার চেষ্টা করছিল। ১৪ বৎসর বয়সের সুশীল সেন মার খেয়ে প্রহাররত ইন্সপেক্টর হেনরীকে পালটা আক্রমণ করে বসল। অবাক কাণ্ড! সামান্য বালকের এত সাহস! কিংসফোর্ড সাহেব বিচার

১০