পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

করলেন এই অপরাধের! তাঁর আদেশে ১৪ বৎসর বয়সের বালককে ১৪ ঘা বেত্র দণ্ডে ক্ষত বিক্ষত করা হল। এই অত্যাচার নিষ্ফল হল না। সুশীল সেন যোগ দিল বারীন্দ্রের কারখানায় বোমা তৈরী করবার জন্যে। অরবিন্দ যে লিখেছিলেন—wanted more repression—সে কথার যাথার্থ্য প্রমাণিত হল। হেমচন্দ্র কানুনগো তাঁর ‘বাংলায় বিপ্লব প্রচেষ্টা’ নামক বইখানিতে লিখছেন—বোমা দিয়ে মানুষ মারবার কেরদানী শেখাবার জন্য বারীন্দ্রের নিকট দু’একজন যুবক চেয়েছিলাম। প্রথমে পাঠিয়েছিল শ্রীমান সুশীলকে। সেই সঙ্গে প্রেসিডেন্সী ম্যাজিষ্ট্রেট কিংসফোর্ড সাহেবকে মারবার আদেশ দিয়েছিলেন কর্তারা।

 বন্দেমাতরম্ সম্পর্কিত মোকর্দমার পরই বারীন্দ্রের দল যুগান্তর কাগজ ছেড়ে বোমার কারখানা স্থাপনে আত্মনিায়াগ করল। অরবিন্দের নেতৃত্বে যখন ফুলার বধের চেষ্টা হয়েছিল তখন গুপ্ত সমিতির আস্তানা ছিল চাঁপাতলায়। বারীন্দ্রের দলের আস্তানা হল মানিকতলা মুরারীপুকুরে। এই আড্ডা থেকেই ছোটলাট ফ্রেজার, চন্দন নগরেব মেয়র ও মিঃ কিংসফোর্ডের বধের গোপন চেষ্টা চলে এবং ব্যর্থ হয়। চাঁপাতলা থেকে ক্রমশঃ এইভাবে আস্তানার পরিবর্তন ও বিস্তার হয়। (১) চাঁপাতলা—১৯০৬ মার্চ ১৯০৭ অক্টোবর—১ বৎসর আট মাস। (২) মানিকতলা ১৯০৭ নভেম্বর—১৯০৮ এপ্রিল ৬ মাস। (৩) বৈদ্যনাথ (শীলস লজ)— ১৯০৮ জানুয়ারী—

১১