পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ভোজনের ব্যবস্থা করে দিতেন তাঁর মাকে বলে! এদের মধ্যে একজন ছেলে তাঁর বিশেষ প্রিয় ছিল। তার নাম ‘টোষা’। কানাইলাল তাঁর সম্বন্ধে ঐ নামেরই উল্লেখ করতেন। শোনা যায় এই ছেলেটির বাবা-মা প্লেগে মারা যায়। কানাইলালই এই আশ্রয়হীন অনাথকে আশ্রয় দেন। ভবিষ্যতে নিজ দেশে পরবাসী কোটি কোটি অনাথ ভারতবাসীর স্বাধীন আশ্রয়ের জন্য তিনি জীবন দিয়ে সাধনা করে গেলেন!

 কানাইলালের চরিত্রের যেটি সব চেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য দিক সেটি হল তাঁর অসাধারণ সত্যনিষ্ঠা। ভারতে আমরা দেখেছি রাজনৈতিক নেতাদের জীবনে নৈতিকতার প্রভাব অত্যন্ত বেশি। প্রায় সকলেই, সত্যনিষ্ঠা, ত্যাগ, সংযম প্রভৃতির ওপর জোর দিয়েছেন, আত্মসংগঠনের কথা প্রচার করেছেন। সৈনিক কানাইলালের জীবনেও সেই উচ্চভাব, সেই আদর্শ কি ভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল তা দেখলে বিস্মিত হতে হয়। কানাইলাল কাজের মানুষ। তাই জীবনের প্রথম স্তর থেকেই তিনি নিজেকে নিষ্ঠার সঙ্গে গড়ে তুলেছিলেন। এমন শোনা যায়, তিনি জীবনে নাকি কোনদিন মিথ্যাকথা বলেন নি। কথাটা সত্যিই শুনে ভাববার মত। কয়েকটি ঘটনার কথা উল্লেখ করা যাক্। একদিন দুপরে কানাইলালের মামা, কানাইলালকে রোদ্দুরে বার হতে নিষেধ করে দেন। গুরুজনের আজ্ঞাবাহী কানাই তিনতলায় চিলের ছাদের ছায়ায় বসে অন্য ছেলেদের ঘুড়ি ওড়ানো দেখছিলেন। মামা ভাবলেন কানাই

১৬