পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ঘটনার পাশাপাশি, অপেক্ষাকৃত পরিণত বয়সের এক বিশিষ্ট ঘটনার কথা স্মরণ করি। কানাইলাল যখন বিপ্লবের মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে চন্দননগর থেকে কোলকাতায় আসা ঠিক করলেন তখন চিন্তিত হয়ে তাঁর মা তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন তিনি কোথায় যাচ্ছেন? কানাইলাল বলেছিলেন তিনি চাকরী করতে যাচ্ছেন! হ্যাঁ, চাকরী করতে যাচ্ছেন সন্দেহ নেই। কিন্তু সে চাকরী বড় ভয়ানক! সৈনিক কানাইলালকে যুদ্ধের ধর্ম বজায় রাখতে হয়েছিল। যুদ্ধজয় করতে হলে চাই ছল, বল, কৌশল। যুধিষ্ঠিরকে বলতে হয়েছিল অশ্বত্থামা হত। তারপর হয়ত তিনি অতি ক্ষীণস্বরে বলতে চেয়েছিলেন ইতি গজ। কানাইয়ের মা ব্রজেশ্বরী দেবী অকুণ্ঠচিত্তে বিদায় দিতে পেরেছিলেন ছেলেকে। এবং যখন রাজদ্রোহের অপরাধে কানাইলাল গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে খবর বার হল, তখন পর্যন্ত ব্রজেশ্বরী দেবী বিশ্বাস করতে পারেন নি যে কানাই প্রকৃতই এর সঙ্গে লিপ্ত আছেন। সত্যকাম কানাইলাল ধরা পড়বার পর, যখন শোনা যাচ্ছিল তাঁর দ্বীপান্তর হবে, তখন তিনি বলেছিলেন যে তাঁকে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে না। তাঁর কথা কি ভাবে সফল হল পরবর্তী অধ্যায়ে তার পরিচয় মিলবে।

 ১৯০৩ সালে প্রবেশিকা পাশ করে কানাইলাল চন্দননগর এসে স্থানীয় ডুপ্লে কলেজে ভর্তি হলেন। তখন ডুপ্লে কলেজের অধ্যাপক শ্রদ্ধেয় চারুচন্দ্র রায়ের বাড়ীতে স্বদেশী কর্মীদের একটি কেন্দ্র ছিল। সেখানে বিভিন্ন কর্মীরা এসে মিলিত হতেন,

১৮