পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

রোজের মত সাহেবরা মদ খেয়ে রাস্তায় হৈ-চৈ শুরু করে দিয়েছে মারধোর করতে আরম্ভ করে দিয়েছে আশপাশের লোককে। কানাইলাল বেরিয়ে এলেন রাস্তায়। সাহেবদের দলে ছিল তিনজন। কানাইলাল প্রথমে ভাল কথায় নিষেধ করলেন। কিন্তু তাতে কোন ফল হল না। মাত্রা বেড়ে চলল। আর এক মাত্রা চড়িয়ে দিলেন কানাইলাল। প্রথম সাহেবের নাকের ওপর এক ঘুঁষি মারলেন যে সাহেব তিন পাক ঘুরে নর্দমার ওপর গিয়ে পড়ল। ব্যাপার দেখে আর দুজন ছুটে পালাচ্ছিল, কানাইলাল তাড়া করে গিয়ে আর একজনের রগের ওপর এক ঘুষি মারলেন এবং সঙ্গে সঙ্গেই সে ধরাশায়ী হল। বাকী জন কোন গতিকে প্রাণ নিয়ে পালাল। এর পর থেকে ঐ পল্লীতে সাহেবদের আর শুভাগমন বা নৈশ অভিসার হয় নি। তখনকার দিনে সাহেব কর্মচারীদের ওপর এরূপ ব্যবহার করতে গেলে কতখানি সাহস ও শক্তির প্রয়োজন হত আজকের দিনে তা উপলব্ধি করা সম্ভব নয়।

 অনুরূপ আর একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করা যাক। ১৯০৭ সালে চন্দননগর Warren's circus নামে এক সাহেব কোম্পানী সার্কাস দেখাতে আসে। স্বদেশী যুগের ভরা জোয়ার তখন, বিপ্লবের আগুনে সারা দেশ তপ্ত। সাহেব কোম্পানী সার্কাস দেখিয়ে পয়সা লুটে নিয়ে যাবে এটা আর সহ্য করা যায় না। তাছাড়া আবার ভেতরে বসবার জায়গায় সাদা ও কালা আদমীর মধ্যে বিরাট প্রভেদ। এই ভেদাত্মক নীতিই

২০