পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

যেন আরও আগুন জ্বালিয়ে দিল। ঠিক হল সার্কাস বয়কট করা হবে। কথামত কাজ। কানাইলাল কয়েকজন সমবয়সী তরুণকে সঙ্গে নিয়ে সার্কাসের তাঁবুতে গিয়ে হাজির হলেন এবং টিকিট বিক্রী বন্ধ করবার উপক্রম করে তুললেন। সার্কাসের সাহেব ম্যানেজার বাইরে এসে কানাইলালকে গালাগাল দিতে লাগল। কানাইলালও নীরব রইলেন না, সমানে উত্তর দিয়ে গেলেন। সাহেব রাগ সামলাতে না পেরে লাঠি দিয়ে মারতে গেল কানাইলালকে। মুষ্টিযোদ্ধা কানাইলাল লাঠি এড়িয়ে বাঁ হাতের এক ঘুষিতে সাহেবকে ধরাশায়ী করে দিলে। দশহাত দূরে তাঁবু খাটাবার খোঁটা পোঁতবার এক গর্তে পড়ে সাহেব রক্ত বমন করতে লাগল। সাহেব যদি মরে যায় তা হলে ব্যাপার সঙ্গীন হয়ে দাঁড়াবে একথা উপলব্ধি করে কানাইলাল দলবল নিয়ে অবিলম্বে স্থান ত্যাগ করলেন। যথারীতি পুলিস এল, সাহেবকে হাঁসপাতালে পাঠাল এবং আঘাতকারীর সন্ধান করতে লাগল। তবে, সার্কাস কোম্পানী পরদিনই চন্দননগর ত্যাগ করা যুক্তিযুক্ত মনে করল। কানাইলাল সেদিন তরুণ সমাজের মুখোজ্জ্বল করে তাদের মধ্যে অগ্রণী হয়ে দাঁড়ালেন।

 এসব ঘটনা শুনে যদি কেউ মনে করে যে কানাইলালের কাজ ছিল শুধু গুণ্ডামী তাহলে তাঁর প্রতি অবিচার করা হবে। সংগঠনের কাজে কানাইলালের অবদান যে কতখানি সে বিষয়েও কিছু জানা দরকার। ১৯০৫ সালে বার্ণ কোম্পানীর দেশীয়

২১