পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বিপ্লবী (হিন্দু) যুবকদের মস্তিষ্ক উত্তপ্ত করে তোলে। প্রতিশোধের ইচ্ছায় পাগল হয়ে ওঠে এরা। এবং সেই প্রতিশোধের পাত্র যে প্রথমে ইংরেজ সেটা হৃদয়ঙ্গম করতে তাদের ভুল হয় না। সর্বাপেক্ষা বেশি উত্তেজনার সৃষ্টি করে বরিশালে প্রাদেশিক কনাফরেন্স ছত্রভঙ্গ করে দেবার চেষ্টা। স্যার ব্যামফিল্ড ফুলারের শাসনকাল চলছে তখন। অত্যাচারের সীমা নেই, রিজলী সার্কুলার প্রচলিত হয়েছে। ইমার্সন সাহেবের সভা ভঙ্গ করার নিষেধ অমান্য করায় দেশের নেতাদের ওপর পুলিস বেপরোয়া লাঠি চার্জ করে। সুরেন্দ্রনাথের মত নেতাকে অপমানিত করা হয়। সুরেন্দ্রনাথকে ম্যাজিষ্ট্রেটের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সমানে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। সেদিন দেশের সর্বত্র আগুন জ্বলে ওঠে। চন্দননগরেও ফরাসী সরকারের সঙ্গে স্থানীয় লোকেদের বিরোধ শুরু হয়ে যায়। এবং ইংরেজ রাজত্বের চেয়েও এখানকার উৎপীড়ন আরও ভীষণ আকারে দেখা যায়। শ্বেতাঙ্গ কর্মচারীরা কালা আদমিদের ঘৃণার চক্ষে দেখতে আরম্ভ করে দেন। বন্দেমাতরম ধ্বনি ফরাসী রাজশক্তির কানেও অসহ্য হয়ে উঠতে থাকে। এই সময়ে চন্দননগরে একটা ঘটনা ঘটে। স্থানীয় এক হোটেলের শ্বেতাঙ্গ মালিক তার পাশের বাড়ীর এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের কোন মহিলার প্রতি কুৎসিত ইঙ্গিত করায় তাকে উত্তম-মধ্যম প্রহার করা হয়। এই ব্যাপার অসাধারণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ফরাসী পুলিস ঐ বাড়ীতে ঢুকে ঐ বাড়ীর কর্তাকে

২৭