পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

লাঠি খেলছে দেখে লোকে বিরুদ্ধ সমালোচনা যে করতো সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু কানাইলালের আগ্রহে ও উৎসাহে এ সব সমালোচনা দাঁড়াতে পারে নি। শুধু তাই নয়, এই সকল সমিতিতে কোনরূপ, শ্রেণীবিচার ছিল না। সকলেরই ছিল সমান অধিকার। আগেই বলেছি, বিপ্লব-যজ্ঞের প্রধান হোতা অরবিন্দ প্রথম প্রোলেটেরিয়টদের স্বাদেশিকতায় উদ্বুদ্ধ হবার কথা বলেন। বিপ্লব-যজ্ঞের অন্যতম পুরোহিত কানাইলালের লক্ষ্যও সেদিকে ছিল। কানাইলালের যুবক সমিতি গঠনের আসল উদ্দেশ্য যে কি তা মাঝে মাঝে যে প্রকাশ হয়ে না পড়তো এমন কথা বলা যায় না। তবে সমিতির রবিবাসরীয় অধিবেশনে দু’একজন রাজকর্মচারীকেও যোগ দিতে দেখা যেত। এই সব রবিবাসরীয় অধিবেশনে, ইতিহাস, ধর্ম, দর্শন, শিক্ষা পদ্ধতি প্রভৃতি সাংস্কৃতিক আলোচনা হত, কাজেই, বেশ বোঝা যাচ্ছে যে ঐ সমিতির উদ্দেশ্য শুধু মারামারি-গুণ্ডামী করাই ছিল না, জাতিগঠনও তার একটা প্রধান অঙ্গ বলে পরিগণিত হত। কেবলমাত্র ঘরে বসে বই পড়ে বা আলোচনা করেই দেশের স্বরূপ জানা যায় না! দেশকে জানতে হলে নিজের চোখে পরিদর্শন করা, বিভিন্ন স্থান পরিভ্রমণ করার প্রয়োজন। এই জন্যই সমিতির সভ্যেরা স্থির করেন বাংলাদেশ ভ্রমণ করবেন। প্রথমে বাংলাদেশ তারপর বাংলার বাইরের দেশ। কানাইলাল সভ্যদের মাঝে অগ্রণী হয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন বাংলাদেশ ঘুরবেন বলে। কোলকাতার

৩২