পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

‘সৎপথাবলম্বী সম্প্রদায়’ নামে এক সমিতি গড়ে তুললে। কানাইলাল কিন্তু এই দলে যোগদান করেন নি। এই দলের উদ্দেশ্য পরোপকার করা ত বটেই তার সঙ্গে আবার হরিসংকীর্তন করা ইত্যাদি ধর্মকর্মের একটা দিকও ছিল। সত্যকাম কানাইলালের কিন্তু ঐ সব ধর্মকর্মের দিকে বিশেষ কোন আকর্ষণ ছিল না। তা ছাড়া এই সময় তাঁর পড়াশোনার ওপরও চাপ পড়েছিল একটু বেশি। এই সময়ে তিনি প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করার পর এফ, এ, পড়বার জন্যে তৈরী হচ্ছেন। অবশ্য সৎপথাবলম্বী সম্প্রদায়ের আয়ু বেশী দিন ছিল না। স্বাদেশিকতার বন্যায় সব ভেসে গিয়ে একাকার হয়ে গেল। তখন বঙ্গভঙ্গ রোধের যুগ। ১৯০৫ সালের আন্দোলনের প্রথম প্রভাত। ৭ই আগষ্ট সুরেন্দ্রনাথ, ভূপেন্দ্রনাথ প্রভৃতি নেতাদের নেতৃত্বাধীনে কোলকাতার রাজপথে মিছিল বার হয়েছে। মিছিলে অসংখ্য যুবক চলেছে—মাথায় তাদের হলদে রঙের উষ্ণীষ। সেদিন বাঙ্গালী জয়গর্বে ঘোষণা করেছে ইংরাজের দেওয়া বঙ্গ-বিভাগ মানবো না, বণিক শোষণ চলবে না, বিদেশী দ্রব্য বর্জন কর। ...সারা ভারত জুড়ে এই আন্দোলনের ঢেউ গিয়ে লেগেছে। সারা দেশ প্লাবিত, মথিত হয়ে উঠেছে। কোলকাতা থেকে মতিলাল রায় চন্দননগরে এসে আরও দু’চারজন বন্ধুকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন। মুখে মুখে তাঁদের এক অভিনব সঙ্গীত—‘একবার তোরা মা বলিয়া ডাক—’। এই গান শুনে জনসাধারণের অনেকে পুলকিত হয়ে বেরিয়ে এল

৩৫