পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

হয় (হেমচন্দ্র কানুনগো?) যেদিন বারীন্দ্র ‘তার’ করছে শিলং থেকে সেদিনই সন্ধ্যেবেলা ভূপেন দত্ত হত্যাকারীকে ট্রেণে তুলে দিয়ে এলেন। সময়টা ১৯০৬ খৃষ্টাব্দের মে মাস।’

 আয়োজনের কোন অভাব ছিল না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হত্যাকারী একরকম মানসিক অক্ষমতার জন্যেই কার্য সমাধা করতে পারে নি। বরং একটু লোক জানাজানি হয়ে গিয়েছিল।

 যাই হোক হত্যা চেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং ফুলার সাহেব ওখান থেকে রংপুর চলে যান। তখন ঠিক হয় রংপুরেই আর একবার চেষ্টা করা হবে। কিন্তু এই ব্যবস্থার জন্য আরও কিছু টাকার প্রয়োজন। তখনই অরবিন্দ—যিনি কার্যক্ষেত্রে ‘ক-বাবু’ নামে পরিচিত স্বদেশী ডাকাতির পরিকল্পনা করেন এবং নরেন গোঁসাইকে রংপুরে ডাকাতি করবার আদেশ দেন। রংপুরেই প্রথম স্বদেশী ডাকাতি অনুষ্ঠিত হয়। রাওলাট কমিশনের রিপোর্টেও সে-কথার উল্লেখ আছে।

 লাট সাহেবকে প্রথম হত্যা-প্রচেষ্টার মত প্রথম স্বদেশী ডাকাতিও সফল হয় নি। প্রথম হত্যাকারী যিনি ছিলেন, প্রথম ডাকাতির প্রচেষ্টার অন্যতম কর্মী ছিলেন তিনিই। হত্যার সময় যেমন হয়েছিল ডাকাতি করতে এসে মনের মধ্যে ধিক্কার জেগেছিল এবং শেষ পর্যন্ত নানাকারণে ডাকাতি আর করতে হয় নি। হত্যা করতে যাওয়ার মধ্যে তবু কিছু সান্ত্বনা আছে। কারণ সাহেবকে হতা করা হচ্ছে দেশ-

৪০