পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বাসীকে নয়। কিন্তু ডাকাতি করতে গেলে দেশবাসীরই ক্ষতি! হেমচন্দ্র কানুনগো এই সম্বন্ধে লিখছেন—‘বৈপ্লবিক গুপ্ত সমিতি গঠনের শুরুতে আর্থিক সমস্যা সমাধান জন্য যে সকল পন্থা অবলম্বিত হয়েছিল, তার মধ্যে ডাকাতিই ছিল প্রধান। বিপ্লবচেষ্টার অন্যান্য ব্যাপারের মত এটাও বঙ্কিমবাবুর নভেল থেকে নেওয়া হয়েছিল। আর একটা বড় সমর্থন এই ছিল যে রাশিয়ার বিপ্লববাদীরাও নাকি ডাকাতি করত; কাজেই এদেশে ডাকাতী করা উচিত কি অনুচিত, অথবা কি রকম ডাকাতী করা উচিত, সে বিষয় কোন দ্বিধা আমাদের মনে ত আসেই নি, নেতাদের মনে এসেছিল বলে কোন প্রমাণ পাওয়া যায় নি, কারণ, নেতাদের মধ্যে ডাকাতির বিরুদ্ধে একটুও প্রতিবাদ করতে কাউকে কখনও শুনিনি।

 ‘...গুপ্ত সমিতির শুরুতে আমাদেরও এই ধারণা ছিল যে, সরকারী কোন অফিসের রেলওয়ে কোম্পানীর বিদেশী বণিকের টাকাই ডাকাতি করতে হবে। সরকারী অফিসের টাকা যে দেশের লোকেরই টাকা অর্থাৎ তা যে দেশেরই আয়-ব্যয়ের তহবিলের টাকা, আর তার ক্ষতি বৃদ্ধির জন্য যে, দেশের লোকেই দায়ী, সে জ্ঞান আমাদের ছিল না। টাক। বা নোটজালের কল্পনাও অনেকের মাথায় এসেছিল, তা কাজে পরিণত হয়েছিল বলে শুনি নি।

 মোট কথা, ক-বাবুর নিদের্শমতই ডাকাতি করার সিদ্ধান্ত করা হয় এবং ডাকাতি করা উচিত কি অনুচিত সে বিষয় চিন্তা

৪১