পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বারীন্দ্র ও কানাইলালের যোগাযোগ

 বাংলায় আগুন জ্বলেছ। হত্যা প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলেও, প্রচেষ্টার কথাটাই ছড়িয়ে গড়েছে আগুনের মত। এইটেই ছিল নাকি বারীন্দ্রের নীতি। বারীন্দ্র চেয়েছিলেন এই চেষ্টা গুলোকেই প্রচারের যন্ত্ররূপে ব্যবহার করতে, বাংলার যুবকদের মনকে জাগিয়ে তুলতে। আগেই বলেছি কানাইলাল নিজ চেষ্টাতেই চন্দননগরে কয়েকটি সমিতি কেন্দ্র ও শাখা স্থাপনা করেছিলেন। এই সমিতি পরিচালনা ব্যাপারেই বারীন্দ্রের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়। ১৯০৭ খৃষ্টাব্দে বারীন্দ্র কুমার ‘যুগান্তরে’র সংশ্রব ছেড়ে দিয়ে মাণিকতলার বাগানবাড়ীতে কেন্দ্র স্থাপনা করেন। এই কাজ ব্যয়সাপেক্ষ, তাই তিনি তাঁর বন্ধুবান্ধবদের কাছে সাহায্য চেয়ে পাঠান। কানাইলাল তখন সবে মাত্র কেন্দ্র স্থাপনা করেছেন। সহায়ের মধ্যে কয়েকজন মুষ্টিমেয় ছাত্র-বন্ধু মাত্র। নিজেদেরই অর্থের প্রয়োজন তার ওপর আবার অপরকে সাহায্য করা! কিন্তু কানাইলাল দমে যাবার পাত্র নন। তিনি সাধ্যমত চেষ্টা করে প্রথমে মাত্র পাঁচটি টাকা পাঠালেন। তার পর দশ টাকা এমন কি পরের মাসে পনেরো টাকা পর্যন্ত পাঠাতে

৪৪