পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নারিকেলের মালায় ঢালিয়া চক্ষু বুজিয়া তারিফ করিতে করিতে খাইবার সময় মনে হইত যে, ভারত উদ্ধারের যে কয়টা দিন বাকী আছে, সে কয়টা দিন যেন চা খাইয়াই কাটাইয়া দিতে পারা যায়। প্রথম দিনেই বারীন আইন জাহির করিয়া দিল যে, নিজে রাঁধিয়া খাইতে হইবে। এক আধ জনত রাঁধিবার ভয়ে বাগান ছাড়িয়া পলাইয়া গেল! কিন্তু তা বলিয়া বাগানের ভিতর বাহিরের লোককে ঢুকিতে দেওয়া যায় না—বিশেষতঃ পয়সার অভাব।... থালা ঘটি বাটির নাম গন্ধ বাগানে বড় বেশি ছিল না। প্রত্যেকের এক একটা নারিকেলের মালা আর একখানি করিয়া মাটির সানকি ছিল; তাহাই আহারাদির পর ধুইয়া মুছিয়া রাখিয়া দিতে হইত। কাপড় সকলেই নিজের হাতে সাবান দিয়া কাচিয়া লইত, যাহারা একটু বেশি বুদ্ধিমান, তাহারা পরের কাচা কাপড় পরিয়াই কাজ চালাইয়া দিত।

 ‘ক্রমে ক্রমে বাংলাদেশের নানা জেলা হইতে প্রায় ২০ জন ছেলে আসিয়া জুটিল। ...বাগানের কাজকর্ম যখন আরম্ভ হইয়া গেল, তখন ছেলেদের বারীনের কাছে রাখিয়া দেবব্রত ও আমি আর একবার আশ্রমের উপযুক্ত স্থান খুঁজিতে বাহির হইলাম।···প্রথমেই গিয়া এলাহাবাদে একটা প্রকাণ্ড ধর্মশালায় দুই চারিদিন পড়িয়া রহিলাম।...প্রয়াগ হইতে বিন্ধ্যাচলে আসিয়া এক ধর্মশালায় কিছুদিন পড়িয়া রহিলাম।... বারীনের চিঠি আসিল—“শীঘ্র ফিরিয়া এসো।”...বারীনের

৪৭