পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

তার মধ্যে যেন বোমাটা পুঁতিয়া রাখা হয়। তাহার পর সময়মত তাহাতে ‘শ্লো-ফিউজ’ লাগাইয়া আগুন ধরাইয়া দলেই কার্যোদ্ধার হইবে। কিন্তু লাটসাহেবের এমনই অদৃষ্টের জোর যে, বোমা পুঁতিবার দিন আমাদের ওস্তাদজী পড়িলেন জ্বরে, আর যাঁহারা কেল্লা ফতে করিতে ছুটিলেন তাঁহারা একেবারে “ও রসে বঞ্চিত গোবিন্দ দাস।” কাজেই বোমাও ফাটিল, রেলও বাঁকিল, গাড়ী উড়িল না। তবে ইঞ্জিনখানা নাকি জখম হইল, এবং খড়গপুর ষ্টেশন হইতে আর একটা ইঞ্জিন লইয়া গিয়া লাট-সাহেবের স্পেশ্যালকে টানিয়া আনিতে হয়।

 ‘পুলিসের কর্তারা গাড়ী ভাঙ্গার আসামী ধরিবার জন্য ৫০০০৲ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করিয়া দিলেন। সুতরাং আসামীরও অভাব হইল না। জনকতক রেলের কুলিকে ধরিয়া চালান করা হইল। তাহারা নাকি পুলিসের কাছে আপনাদের অপরাধও স্বীকার করিল। জজ সাহেবের বিচারে তাহাদের কাহারও পাঁচ কাহারও বা দশ বৎসর দ্বীপান্তরের হুকুম হইল।’

 দেখা যাচ্ছে, মাণিকতলা বাগানের ছেলেদের প্রথম কীর্তি ফ্রেজার হত্যা-প্রচেষ্টা। চেষ্টা একবার নয়, দুবার। প্রথম চন্দননগরে, দ্বিতীয় নারায়ণগড়ে। দলের মধ্যে হেমচন্দ্র ফুলার বধের বেলায় হত্যাকারীর কাজ করেছেন। ফ্রেজার বধের প্রথম চেষ্টায় কে কে ছিলেন জানা নেই তবে দ্বিতীয়বারে যিনি ছিলেন তাঁর বিষয়ে হেমচন্দ্র স্পষ্টই লিখছেন—‘...বারীণ

৪৯