পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

centres of order which were evolving a new cosmos and building up the materials of a gigantic downfall and a mighty new creation. We could have wished it otherwise. But God's will be done.”

 পরের দিন ৩০ শে এপ্রিল এম্পায়ার পত্রিকায় সংবাদ বার হল—“৩০ শে এপ্রিল রাত্রি ৮ টার সময় মিসেস এবং মিস কেনেডী, মজফরপুরের জজ মিঃ কিংসফোর্ডের গেটে ঢুকতে বোমার দ্বারা নিহত হয়েছেন।”

 দেখা যাচ্ছে এবারের চেষ্টাও বিফল হল। দুজন নিরীহ স্ত্রীলোককে মেরে ভারতের কলঙ্কই পরোক্ষে বাড়ল, আসল কার্য সিদ্ধি কিছু হল না। শুধু তাই নয়। এবার আততায়ীরাও চটপট্ ধরা পড়ে গেল। প্রথম ধরা পড়লেন ক্ষুদিরাম রিভলভার সমেত। ক্ষুদিরামই পুলিসের কাছে প্রফুল্ল চাকীর কথা বলেছিলেন। অবশ্য ক্ষুদিরাম জানতেন না প্রফুল্ল চাকীর আসল নাম। তিনি নাম বলেছিলেন দীনেশ। সে যাই হোক ধুরন্ধর ইন্সপেক্টার নন্দলাল ব্যানার্জী প্রফুল্ল চাকীকে চেহারা দেখেই সন্দেহ করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত প্রফুল্ল চাকী নিজেকে ধরা দিলেন না। রিভলভারের গুলিতে আত্মহত্যা করলেন।

 ৩০ শে এপ্রিল এই বোমা-বিভ্রাট ঘটে। তার পরেই হেমচন্দ্র লিখছেন—“আমাদের কর্তা (অরবিন্দ), এ খবর

৫৯