পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

দুটো নিয়েছিল। অধিকন্তু আর একটা সে (ক্ষুদিরাম) না বলে হস্তগত করেছিল। যেখানে রিভলভার রাখা হত সে জানত। দুটো রিভলভার পাতলা জামার দুপকেটে ঝুলছে, আর দুহাতে খাবার খাচ্ছে, এ হেন সময়ে বোমা-ফাটার পরের দিন রেল-ষ্টেশনে সে ধরা পড়ল।’

 একাধিক হত্যা ব্যর্থ হবার প্রসঙ্গে কানাইলাল বলেছিলেন, টেরোরিষ্টদের একটি বড় দোষ এই যে, তাহারা লক্ষ্য সাধনের অপেক্ষা আত্মরক্ষার দিকেই অধিক ঝোঁক দিয়ে চলে—শুধু ব্যর্থতা নয়। এই ত্রুটি রেখে চললে ভবিষ্যতে এরা মারাত্মক ভুল করবে। শুধু মুখের কথা নয়, জীবনে কাজ দিয়ে কানাইলাল প্রমাণ করেছিলেন কি করে, কত প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও লক্ষ্য ভেদ করা যায়, যদি আত্মরক্ষার দুর্বলতাকে, হটকারিতাকে জয় করা যায়। তাই কানাইলাল শ্রেষ্ঠ সৈনিক।

গ্রেপ্তার

 ১৯০৮ সালের ৩০ শে এপ্রিল বোমা-বিভ্রাট ঘটল আর ১লা মে কোলকাতা পুলিস ঠিক করলে বারীন্দ্রের সংস্পর্শে যে যেখানে আছে সবাইকে গ্রেপ্তার করতে হবে, সব ঘাঁটি খানাতল্লাসী করতে হবে। কথামত কাজ হল। সেদিনই ভোরাত্রে অর্থাৎ ২রা মে ৩॥ টা ৪টার সময় নিম্নলিখিত

৬১