পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পুকুরে কিছু পাওয়া গিয়েছিল, যেমন, রিভলভার, বন্দুক, রাইফেল, কতগুলো নোবেল ডিনামাইট, ইলেকট্রিক ব্যাটারী, বোমার সেল ঢালাই করবার যন্ত্রপাতি, বিস্ফোরক তৈরী করবার প্রণালী সম্বন্ধে কয়েকখানি বই, বোমা তৈরীকরবার প্রণালীসমেত একখানি লিথো পাণ্ডুলিপি, গুপ্ত সমিতি গঠন করবার নিয়মাবলী, কতগুলো বই, কাগজ পত্র, নোট বুক ইত্যাদি। কবিরাজের ঘর থেকে পূর্বোল্লিখিত মালমশলা পাওয়া গেল। তাছাড়া পুলিস প্রাপ্ত কাগজপত্র থেকে কয়েকটা নাম সংগ্রহ করেছিল। তাই দেখে পরে অনেক লোক ধরা পড়েছিলেন— শ্রীরামপুরের নরেন্দ্রনাথ গোসাই, হৃষীকেশ কাঞ্জিলাল, যশোহরের বীরেন্দ্রনাথ ঘোষ, শ্রীহট্টের হেমচন্দ্র সেন, বীরেন্দ্র চন্দ্র সেন, সুশীলকুমার সেন (তিন ভাই), খুলনার সুধীর সরকার, মালদহের কৃষ্ণজীবন সান্যাল, নাগপুরের বালকৃষ্ণ কাণে। তাছাড়া চন্দননগরের অধ্যাপক চারু রায়, দেবব্রত বসু, যতীন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়, বিজয় ভট্টাচার্য, নিখিল রায়, প্রভাসচন্দ্র, ও ইন্দ্রনাথ নন্দী, বহু নির্দোষ ব্যক্তিও ধরা পড়েছিলেন। মহাপণ্ডিত পঞ্চানন তর্করত্ন তাদের মধ্যে অন্যতম।

 ২রা মে ভোরবেলায় খানাতল্লাসী ও গ্রেপ্তার সম্পর্কে অরবিন্দ তাঁর ‘কারাকাহিনী’তে লিখছেন—‘শুক্রবার রাত্রিতে আমি নিশ্চিন্ত মনে ঘুমাইয়াছিলাম, ভোর প্রায় পাঁচটার সময়

৬৩