পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

not expect too much from us.”—আমাদের নিকট হইতে বড় বেশি কিছু আশা করিও না।’

 প্রথমটা দলের কেউ অনুমান করতে পারে নি যে দলের সবকয়টি আস্তানা খানাতল্লাস করা হয়েছে এবং সকলেই ধরা পড়েছে। হেমচন্দ্র কানুনগো লিখেছেন— ‘২রা মের বিভিন্ন স্থানে ধৃত ব্যক্তিদিগকে লালবাজার পুলিস হাজতে ভিন্ন ভিন্ন ঘরে পৃথকভাবে রাখা হয়েছিল। বিকেলবেলা পুলিস কোর্টের উঠোনে সকলকে বের করা হল। তখন আমরা সকলে সকলকে দেখে হতভম্ব হয়ে গেলাম। কারণ, প্রত্যেক দলই মনে করেছিল, কেবল তারাই ধরা পড়েছে! তখন দেখল গুপ্ত সমিতির বংশে বাতি দিতে আর বাকী প্রায় কেউ নেই। সকলের মুখ অত্যন্ত ভীষণভাবে বিকৃত হয়ে গেছল। আমার বেশ মনে আছে, তখন কারও মুখে নির্ভীকতার চিহ্ন মাত্র না দেখতে পেয়ে বড়ই অশুভ লক্ষণ বলে বুঝেছিলাম।’

 সকলে অবাক হয়েছিল কানাইলালের গ্রেপ্তার হওয়া শুনে, বিশেষ করে তাঁর পরিচিতেরা। অনেকেই জানতেন না যে কানাইলাল সত্যি সত্যিই যোগ দিয়াছেন বিপ্লবীদলে। কানাইলালের মা ব্রজেশ্বরী দেবী প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেন নি, পরে ভেবেছিলেন কানাইলালকে ভুল করে ধরা হয়েছে, পরে ছেড়ে দেওয়া হবে। অনেকেরই সেই ধারণা ছিল। কিন্তু কানাইলাল চেয়েছিলেন যদি তাঁর সহকারীদের শাস্তি হয়

৬৮