পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সন্দেশ, আম বা বিস্কুট লুকানো আছে তাহার সন্ধান করিয়া ফিরিত। যে দিন সে সব কিছু মিলিত না, সে দিন এক গোছা দড়ি দিয়া কাহারও হাতের সহিত অপরেব কাছা বা কাহারও কানের সহিত অপরের পা বাঁধিয়া দিয়া ক্ষুণ্ণমনে শুইয়া পড়িত। একদিন রাত্রে প্রায় ১টার সময় ঘুন ভাঙ্গিয়া দেখি কানাই একজনের বিছানার চাদরের তলা হইতে একটা বিস্কুটের টিন চুরি করিয়া মহানন্দে বগল বাজাইতেছে। অরবিন্দবাবু পাশেই শুইয়াছিলেন। আনন্দের সশব্দ অভিব্যক্তিতে তাঁহারও ঘুম ভাঙ্গিয়া গেল। কানাই অমনি খানকয়েক বিস্কুট লইয়া তাঁহার হাতের মধ্যে গুঁজিয়া দিল। বিস্কুট লইয়া অরবিন্দবাবু চাদরের মধ্যে মুখ লুকাইলেন; নিদ্রাভঙ্গের আর কোন লক্ষণই দেখা গেল না। চুরিও ধরা পড়িল না।’

 এই সময় হঠাৎ এক কাণ্ড ঘটে গেল। বারীন্দ্র পুলিসের কাছে নিজেদের কার্যকলাপ সব স্বীকার করলেন এবং তার পূর্ণ বিবরণ পুলিসের কাছে পেশ করলেন। বারীন্দ্র বললেন, My mission is over—আমার কাজ ফুরিয়ে গেছে। কিভাবে যে তাঁর কাজ ফুরালো তা অনেকেই বুঝতে পারেন নি, কিন্তু বারীন্দ্র এ কথাটা জোর দিয়েই বলেছিলেন যে তাঁর কাজ ফুরিয়েছে। তাঁর দ্বারা আর দেশোদ্ধার হবে না। বারীন্দ্রের পরামর্শ অনুসারে, উপেন্দ্র, ও উল্লাসকরও তাঁদের অপরাধ স্বীকার করলেন। হেমচন্দ্র কানুনগোকেও বারীন্দ্র চেষ্টা করেছিলেন স্বীকারোক্তি করাতে। কিন্তু হেমচন্দ্র ছিলেন এর

৭১