পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

কারণ, পুলিস তখনও বুঝতে পারে নি ওরা নরেনকে সন্দেহ করেছে। কিন্তু সন্দেহ সকলেই করেছিল এবং হেমচন্দ্র লিখছেন, ‘নরেনকে কেউ মেরে ফেলুক, অরবিন্দ বাবু, দেবব্রতবাবু প্রভৃতি কয়েকজন ছাড়া প্রায় অধিকাংশের মনে এই ইচ্ছা জেগেছিল। তখন বাংলাদেশে যে ক’টি বৈপ্লবিক গুপ্তদল ছিল, বারীনের প্রস্তাব অনুযায়ী তার প্রায় সকল দলের ওপর নরেনের হত্যার ভার দেওয়া হল।

 ...‘আমাদের মধ্যে দু’এক জন বালক, বিশেষ করে সুশীল নিদ্রিতবস্থায় তার গলাটিপে কিংবা যে ইট দিয়ে আমাদের অস্থায়ী পায়খানা তৈরী হয়েছিল তার একখানা তার মাথায় ঠুকে মেরে ফেলবার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল। নির্দোষ অরবিন্দবাবুকে তাতে জড়িয়ে ফেলবার ভয়ে বারীন আদি বয়োবৃদ্ধেরা তাতে অসম্মতি জানান।...বালক কৃষ্ণজীবন কি নিয়ে ঝগড়া বাধিয়ে তাকে লাথিও মেরেছিল। এর দু’-এক দিন পরেই হাসপাতালের কাছে দু’জন য়ুরেশিয়ান কয়েদীকে নরেনের শরীর রক্ষক নিযুক্ত করে তাকে পৃথক ভাবে আরামে রাখা হয়েছিল।’

 শোনা যায় কানাইলালের মা ব্রজেশ্বরী দেবীও নাকি এমন কথা বলেছিলেন যে, দেশে এমন কোন ছেলে কি নেই যে এই পাষণ্ডকে শেষ করে দেয়!

 ইতিমধ্যে ম্যাজিষ্ট্রেট মোকর্দমা সেসনে পাঠিয়ে দিলেন। উপেন্দ্রনাথ লিখছেন, ‘ম্যাজিষ্ট্রেট আমাদের মোকর্দমা সেসনে

৭৪