পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পাঠাইয়া নিশ্চিন্ত হইলেন। আমরাও লম্বা ছুটি পাইলাম। নিষ্কর্মার দল—কাজেই সকলেই হাসে, খেলে, লাফালাফি করে আর মোকর্দমার ফল লইয়া মাঝে মাঝে বিচার-বিতর্কও করে। ছেলেরা কাহাকেও বা ফাঁসিকাঠে চড়ায়, কাহাকেও বা খালাস দেয়। কানাইলাল একদিন বলিল, ‘খালাসের কথা ভুলে যাও, সব বিশ বছর করে কালাপানি।’ শচীনের তাহাতে ঘোরতর আপত্তি সে প্রমাণ করিতে বসিল যে, বিশ বৎসরের মধ্যে দেশ স্বাধীন হইবেই হইবে। কানাইলাল খানিকক্ষণ গম্ভীর ভাবে বসিয়া থাকিয়া বলিল, ‘দেশ মুক্ত হোক আর হোক, আমি হবে। বিশ বৎসর জেলখাটা আমার পোষাবে না।’ এই কথার দুই একদিন পরেই একদিন সন্ধ্যাবেলা হঠাৎ পেটে হাত দিয়া শুইয়া পড়িয়া সে বলিল যে তাহার পেটে যন্ত্রণা হইতেছে। ডাক্তার বাবু আসিয়া তাহাকে হাসপাতালে পাঠাইয়া দিলেন। সেই অবধি সে হাসপাতালে রহিয়া গেল। মেদিনীপুরের সত্যেনকে কিছুদিন পূর্বে পুলিস ধরিয়া আনিয়াছিল। কঠিন কাশরোগগ্রস্ত বলিয়া সেও হাসপাতালে থাকিত।’

৭৫