পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করার সময় সমস্যা ছিল।

১৭৫৭ খৃষ্টাব্দে পলাশীর রণক্ষেত্রে ভারতের স্বাধীনতা সূর্য ইত হয়েছিল। তার চোদ্দ বছর পরে রাজা রামমোহন নেজিন্ম। রামমোহনের জন্ম থেকে বিবেকানন্দের মৃত্যু পাল)—এই কিছু বেশি একশত বছর বাঙ্গলাদেশের গেল। ফরাসী বিপ্লবে আমরা যেমন পেয়েছি রুশো, নার, কনডরসেট, টারগট প্রভৃতিকে তেমনই এই শতবর্ষ -হুল্লাদেশ জন্ম দিয়েছে রামমোহন, বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্র বিবেকানন্দ, কেশব সেন, প্রভৃতি সংস্কারককে। এঁরা সমবেত ভাবে বিভিন্ন দিক থেকে জাতি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন, সকল প্রকার অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিপ্লবের সুর ধ্বনিত করে তুলেছেন। বিবেকানন্দের মৃত্যুর পরবর্তী অধ্যায় অগ্নিযুগের রোমাঞ্চিত ইতিহাস। আয়োজন সম্পূর্ণ—কেবল নায়কের প্রয়োজন। সে নায়ক দেখা দিলেন অরবিন্দ বারীন্দ্রের রূপ নিয়ে। অরবিন্দ-বারান্দ্রের নেতৃত্বে বিরাট বিপ্লবীদল গঠনের পূর্বে কয়েকটি ছোট ছোট দলের সৃষ্টি হয়েছিল বাঙ্গলায়। প্রথম দল রবীন্দ্রনাথের অগ্রজ জ্যোতিরিন্দ্রনাথ, ব্যারিষ্টার চিত্তরঞ্জন দাস, ব্যারিষ্টার তারক পালিত প্রভৃতিকে কেন্দ্র করে। আরও একটি শক্তিশালী দল—রাজনারায়ন বসু, দ্বিজেন ঠাকুর প্রভৃতি সংগঠিত হিন্দু মেলা। ঠিক এই সময়েই, ১৯০২ সালে কলিকাতায় ব্যারিষ্টার পি মিত্র 'অনুশীলন সমিতি' নামে একটা দল গঠন করেন। বাহ্যতঃ এটা একট। ব্যায়াম শিক্ষা কেন্দ্র হলেও ভিতরে ভিতরে এর উদ্দেশ্য ছিল বিপ্লবী দল গড়ে তোলা।