পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নীচে ঢুকাইয়া দিয়াছিলেন একথা সর্ববাদী সম্মত। এদিকে কানাইএর হাত হইতে গুলি খাইতে খাইতে নরেন কারখানার দরজার কাছে গিয়া আছাড় খাইয়া পড়িল। কানাইয়ের গুলি যখন ফুরাইয়া গেল তখন বন্দুক কীরিচ, লাঠি সোটা লইয়া সকলেই বাহির হইয়া আসিল এবং কানাইকে ঘিরিয়া ফেলিল।’

 বারীন্দ্র লিখেছেন —‘এদিকে সত্যেন পকেটে হাত রাখিয়া কথা কহিতে কহিতে পকেটেই পিস্তল সই করিয়া নরেনকে লক্ষ্য করিয়া গুলি ছুড়িল। গুলি নরেনের উরুতে লাগিয়া মাংস ভেদ করিয়া বাহির হইয়া গেল। য়ুরেশিয়ান কয়েদী সত্যেনকে ধরিতে গিয়া পিস্তলের বাঁটের ঘায়ে আঙ্গুল ভাঙ্গিয়া পিছাইয়া পড়িল। নরেন্দ্র ছিল কুস্তিগীর, বেশ সাজোয়ান পুরুষ, গুলি খাইয়া সে হাঁসপাতাল ছাড়িয়া বাহির হইয়া দৌড় দিল! খোলসা পথ পাইয়া কানাই তাড়া করিতে করিতে নরেনের পিঠ লক্ষ্য করিয়া, গুলি করিল, গুলি শিরদাঁড়া ভেদ করিয়া বুকে বসিয়া গেল। ফলে নরেন তখনই মরিয়া মাটিতে লুটাইয়া পড়িল।’

 নরেন গোঁসাইকে মারার ব্যাপারে যতরকম বিবরণ পাওয়া যায় তার উল্লেখ করা গেল। তিনটি বিবরণীর মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে। তবে এর মধ্য থেকে ব্যাপারটা বেশ খানিকটা আন্দাজ করে নিতে পারা যাবে।

৮৩