পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 হেমচন্দ্র লিখেছেন— বারীন্দ্র জেল ভেঙ্গে পালাবার ফন্দি করছিলেন, তার ফলেই জেলের মধ্যে রিভলভার পাওয়া সম্ভব হয়েছিল। প্রচলিত কথা এই যে, এক কাঁঠালের মধ্যে রিভলভার পুরে বাইরে থেকে কেউ পাঠিয়ে দিয়েছিল। আর কানাইলালকে প্রশ্ন করতে, তিনি, জবাব দিয়েছিলেন, ক্ষুদিরামের ভূত পিস্তল দিয়ে গেছে। অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে কানাইলাল ইচ্ছা করেই ব্যাপারটা গোপন রেখেছেন। যদিও বিচারের সময় কানাইলাল অপরাধ স্বীকার করেছিলেন। সত্যেন্দ্রনাথ কিন্তু অপরাধ অস্বীকার করেন। রিভলভার পাওয়া সম্বন্ধে কেউ কিছু বলেন নি। তবে উপেন্দ্রনাথ লিখেছেন— ‘তবে কর্তৃপক্ষের চক্ষুর অগোচরে জেলের মধ্যে গাঁজা, গুলি, আফিম, সিগারেট সবই যে রাস্তা দিয়া যাইতে পারে, সে রাস্তা দিয়া পিস্তল যাওয়া ত বিচিত্র নয়!’

 হত্যাকাণ্ড হয়ে যাবার পর সকলের ঘর এমন কি সমস্ত ব্যারাক তল্লাস করা হল। উপেন্দ্রনাথ বেশ সরসভাবে তার বর্ণনা দিচ্ছেন—‘বিছানার মধ্যে বা এদিক ওদিক দশ বিশটা টাকা লুকান ছিল। তল্লাসীর সময় প্রহরীরা তাহ। নির্বিবাদে হজম করিয়া লইল।...আরও রিভলভার জেলের মধ্যে লুকান আছে কি না, পুকুরের মধ্যে দুই একটা ফেলিয়া দেওয়া হইয়াছে কি না ইত্যাদি বহুবিধ গবেষণা চলিতে লাগিল। আমাদের বড় আশা হইয়াছিল যে, রিভলভার অনুসন্ধান করিবার জন্য যদি জেলখানার পুকুরের জল হোঁচিয়া ফেলে,

৮৪