তাহা হইলে এক আধদিন যথেষ্ট পরিমাণে মাছ খাইতে পাওয়া যাইবে; কিন্তু অদৃষ্টে তাহা ঘটিল না।
‘সন্ধ্যার সময় জেলারবাবু আমাদের সহিত দেখা করিতে আসিলেন। ভদ্রলোকের মুখ একেবারে শুকাইয়া গিয়াছে। তিনি বলিলেন,—‘মশায় এতই যদি আপনাদের মনে ছিল, ত জেলের বাইরে কাজটা করলেই ত হত। দেখছি ত’ আপনারা একেবারে মরিয়া; তবে ধরা পড়তে গেলেন কেন?...’
শহীদ কানাই
যথারীতি বিচার হল কানাই ও সত্যেন্দ্রর। দুজনেরই ফাঁসির হুকুম হয়ে গেল। কানাইর ফাঁসি হল আগে—১০ই নভেম্বর আর সত্যেন্দ্রর পরে—২৩শে নভেম্বর। কানাইলাল আপীল করতে রাজী হন নি তাই তাঁর ফাঁসি হয়ে গেল আগে আর সত্যেন্দ্র অনেক পীড়াপীড়ি করবার পর আপীল করেছিলেন তাই তাঁর ফাঁসি হতে কিছু দেরী হল। আপীলের জবাবে ভারতের শাসনতন্ত্র রচয়িতা লর্ড মিণ্টো তারযোগে জানিয়েছিলেন—আপীলের জন্য ফাঁসি স্থগিত থাকতে পারে না।
কানাইলাল বিপ্লবীদের সম্পর্কে একদা সমালোচনা করে বলেছিলেন, যে তাদের মনে আত্মরক্ষার দুর্বলতা ও বিশ্বাসের