পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বললে, তারা অন্যদিকে মুখ ঘোরাচ্ছে ইত্যবসরে তিনি যেন কাজ সেরে নেন।

 হাসিমুখে অতি নির্ভীকভাবে, পরম নির্বিকার চিত্তে কানাইলাল ফাঁসির মঞ্চে আত্মবিসর্জন দিলেন। এই সম্পর্কে বারীন্দ্র ও উপেন্দ্র যা লিখেছেন তা পর পর উদ্ধৃত করে দেওয়া হল।

 বারীন্দ্র লিখেছেন—‘কানাইকে বিচার করিয়া সেসন্স সোপর্দ করার পর ওজনে সে অনেকখানি বাড়িয়া গিয়াছিল। মরিবার প্রাতে চারটার সময় তাহাকে বধমঞ্চে লইতে আসিলে সকলে দেখিল সে অকাতরে ঘুমাইতেছে। একটি ঘুম হইতে তার জাগরণ, আর একটি দীর্ঘতর নিবিড়তর ঘুমের জন্যে। তাহার পূর্বদিন সন্ধ্যার সময় উঠানে বেড়াইতে বাহির হইয়া সে আমার ও অনেকের কুঠুরির সামনে দাঁড়াইয়া স্মিতহাস্যে বিদায় নমস্কার করিয়াছিল। সেদিন প্রহরী বাধা দেয় নাই, পরন্তু আমাদের উঠানের দরজা মুক্ত রাখিয়াছিল। সে সহাস্য প্রসন্ন জ্যোতির্ময় রূপ আমি কখনও ভুলিব না। কানাই তখন মহাতাপস, প্রকৃত সর্ব ত্যাগী সন্ন্যাসী। পথ ভুল হউক, আর সত্য হউক, তাহার মরণের সে মহত্ব যাইবার নয়... যে কোন দেশে কানাইয়ের তুলনা নাই। কারণ, এ বীরপূজার জাতি নাই,

৮৭