পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র
৯৫

Sadhu should not be removed by ordinary men. What surprises me is the careful selection of pictures about India made by propagandists in Europe with a view to depicting India in the worst colours possible.”

 সুভাষচন্দ্র যখন ইউরোপ পরিভ্রমণে আসেন সেই সময় ‘ইণ্ডিয়া স্পীকস্’, ‘বেঙ্গলী’ প্রভৃতি ছায়াচিত্রের ভিতর দিয়া সাম্রাজ্যবাদী প্রচার পূর্ণোদ্যমে চলিতেছিল। ‘বেঙ্গলী’ ছবিতে ভারতে বৃটিশ শাসনের অপার মহিমা কীর্ত্তিত হয়। এতদ্ভিন্ন ‘সকলেই সঙ্গীত ভালবাসে’ নামে আর একখানি ছবিতে দেখান হয় ভারতের গণ-নায়ক গান্ধীজী কৌপিন পরিয়া এক ফিরিঙ্গী মেম সাহেবের সহিত নৃত্য করিতেছেন। ভারতবর্ষ এবং তাহার শ্রদ্ধেয় নেতৃবর্গকে মসীচিত্রিত করিবার উদ্দেশ্য-কল্পিত কুৎসিত চিত্রের প্রচারের বিরুদ্ধে সুভাষচন্দ্র ভিয়েনা হইতে তুমুল আন্দোলন আরম্ভ করেন। ফলে, ভিয়েনার ‘বেঙ্গলী’ প্রভৃতি ছবির প্রচার বন্ধ হইয়া যায়। সুভাষচন্দ্রের ইউরোপে থাকাকালে নাৎসীপতি হিটলার এক বক্তৃতায় সদম্ভে ঘোষণা করেন যে, “কৃষ্ণকায়দের শাসন করা শ্বেতকায় জাতিসমূহের কর্ত্তব্য।” পরাধীন ভারতবর্ষের পক্ষ হইতে সুভাষচন্দ্র এই ঘোষণার তীব্র প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেন। নাৎসীরা উক্ত বিবৃতিটি ধামাচাপা দিবার জন্য বলে যে, ইহা ভারতবর্ষ বা জাপানের পক্ষে প্রযোজ্য নয়।

 পিতৃশ্রাদ্ধের পরে ইউরোপে ফিরিয়া গিয়া তিনি প্রথমে নেপল্‌সে পদার্পণ করেন। সেখান হইতে রোমে যান এবং প্রায় একসপ্তাহ কাল রোমে কাটাইয়া ভিয়েনায় আসেন। রোমে অবস্থানকালে আফগানিস্থানের ভূতপূর্ব্ব আমীর আমানুল্লার সহিত তাঁহার সাক্ষাৎ হয়। তৎপর তিনি জেনেভায় গিয়া স্বর্গগত প্যাটেলের মর্ম্মর মূর্ত্তির আবরণ উন্মোচন করেন। পরে জেনেভা হইতে প্যারিসে যান। ১৯৩৬ খৃষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারী মাসে ডাবলিনে পোঁছেন এবং আইরিশ জননেতা ডি, ভ্যালেরার সহিত সাক্ষাৎ