পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ষোল

 ১৯৩৮ সালের ১৯শে ফেব্রুয়ারী জাতীয় মহাসভার ৫১তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। তাপ্তী নদীর তীরে হরিপুর গ্রামে এই বিরাট অধিবেশনের আয়োজন হয়। ২৪শে জানুয়ারী সুভাষচন্দ্র বিমানযোগে ইউরোপ হইতে ভারতবর্ষে তকরিলে করাচী বিমান ঘাঁটিতে দেশবাসী এই নবনির্ব্বাচিত সভাপতিকে বিপুল সম্বর্দ্ধনা জ্ঞাপন করেন। ১৪ই ফেব্রুয়ারী ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হইবার কথা। ১১ই ফেব্রুয়ায়ী জাতীয় অধিবেশনে পৌরোহিত্য করিবার নিমিত্ত সুভাষচন্দ্র কলিকাতা হইতে বোম্বাই মেলযোগে হরিপুরা যাত্রা করেন। ১৩ই ফেব্রুয়ারী বার্দ্দৌলী ষ্টেশনে অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি দরবার গোপাল দাস দেশাই ও সর্দ্দার প্যাটেল তাঁহাকে সাদর অভ্যর্থনা জানান। অতঃপর তাঁহাকে মোটর যোগে হরিপুরা গ্রামে স্বর্গত কালুভাই প্যাটেলের গৃহে লইয়া যাওয়া হয়। সেখানে বাসন্তী রঙের সাড়ি পরিহিতা একশত স্বেচ্ছাসেবিকা ও সমাগত স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ নবীন রাষ্ট্রপতিকে সম্বর্দ্ধনা করেন। একদল বালিকা তাঁহার কপালে কুমকুম পরাইয়া আরতি সহযোগে তাঁহাকে বন্দনা করে। তৎপর সুভাষচন্দ্র ও দরবার গোপাল দাস একান্নটি বলিবর্দ্দ বাহিত একখানি সুসজ্জিত নানালঙ্কারপরিশোভিত রথে আরোহন করিয়া অধিবেশন মণ্ডপের দিকে অগ্রসর হন। সেই রথের পশ্চাতে ছয়খানি শকটে সর্দ্দার প্যাটেল ও অভ্যর্থনা সমিতির অন্যান্য কর্ম্মকর্ত্তারা অনুগমন করেন। চার মাইল দীর্ঘ এই শোভাযাত্রার প্রতি পংক্তিতে দশজন করিয়া লোক ছিল। পথের উভয় পার্শ্বে পল্লীবাসী আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা বিপুল হর্ষধ্বনি সহকারে শোভাযাত্রীদের অভিনন্দিত করিতেছিল। শোভাযাত্রা সভামণ্ডপে পৌঁছিতে দুইঘণ্টা লাগে। শোভাযাত্রা সম্পর্কে সুভাষচন্দ্র বলেন, “বিরাট