পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১০
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র

অনুসারে সরকারের মোট ব্যয়ের শতকরা সাতান্ন ভাগই সেনাদলের জন্য নির্দ্ধারিত হইয়াছে। যুক্তরাষ্ট্রের যে সংরক্ষিত অংশ বড়লাট কর্ত্তৃক নিয়ন্ত্রিত হইবে তাহা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয়ের শতকরা আশী ভাগ। ইহা ব্যতীত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, যুক্তয়াষ্ট্রীয় রেল বিভাগ প্রভৃতি ব্যবস্থাতন্ত্র ইতিমধ্যেই গঠিত হইয়াছে; উহা যুক্তরাষ্ট্রের নামমাত্র অধীনে পরিচালিত হইবে। রেল বিভাগের নীতি সম্পর্কে আইনসভার কোন কর্ত্তৃত্ব থাকিবে না;—মুদ্রানীতি ও বাটার হার নির্দ্ধারণের ব্যাপারটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির মূলকথা হইলেও তাহার উপর এই আইনসভার কোন কর্ত্তৃত্বই থাকিবে না। পররাষ্ট্রবিষয়ক ব্যাপারগুলি প্রস্তাবিত যুক্তরাষ্ট্রে সংরক্ষিত বিষয় বলিয়া বিবেচিত হইবে। ইহাতে অন্যান্য রাষ্ট্রের সহিত বাণিজ্য-চুক্তি করিবার সাধারণ স্বাধীনতাটি পর্য্যন্ত ভারতীয় আইনসভাকে প্রদান করা হয় নাই। এতদ্বারা আর্থিক স্বাধীনতা গুরুতররূপে ক্ষুণ্ণ হইয়াছে। ভারত শাসন আইনে যে সকল বাণিজ্যসংক্রান্ত অসম-সংরক্ষণ ব্যবস্থার নির্দ্দেশ আছে, তাহাতে ভারতের জাতীয় শিল্প-বাণিজ্যও যখন ব্রিটীশ স্বার্থের প্রতিকূল হইবে (উহা সর্ব্বদাই হইতে বাধ্য), তখন কোনরূপ ব্যবস্থার দ্বারা ঐগুলিকে রক্ষা করা বা উহার প্রসারে সহায়তা করা সম্ভব হইবে না। এই ভারত শাসন আইনে যে সকল অসমঞ্জস বাণিজ্যিক নীতি আছে, তাহা যথযথ প্রতিপালিত হইতেছে কিনা তাহা দেখিবার জন্য বড়লাটের বিশেষ ক্ষমতা রহিয়াছে। ইহা ছাড়া যদি কখন কোন ব্রিটীশ-পণ্যের উপর অতিরিক্ত আমদানী-শুল্ক ধার্য্যকরণ বা অন্য কোন প্রকারে উহার আমদানী সম্পর্কে কড়াকড়ি ব্যবস্থা করিবার প্রস্তাব হয়, তবে বড়লাট উহা অগ্রাহ্য করিয়া দিতে পারেন। এই সমস্ত ব্যবস্থা হইতে প্রতীয়মান হয় যে, বড়লাটের বিশেষ ক্ষমতাবলে বাতিলের বহির্ভূত ব্রিটীশ স্বার্থবিরোধী কোন প্রস্তাব আইন পরিষদে বা শাসনতন্ত্রের অন্য যে কোন ক্ষেত্রে হইতে পারিবে না। দেশীয় শিল্প-বাণিজ্য রক্ষাকল্পে জাতীয় প্রচেষ্টার মধ্যে