পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র
১৩৫

সেই সংগে এ কথা যোগ করা হোক বাঙালীর বাহু ভারতের বাহুতে বল দিক, বাঙালীর বাণী ভারতের বাণীকে সত্য করুক, ভারতের মুক্তি সাধনায় বাঙালী স্বৈরবুদ্ধিতে বিচ্ছিন্ন হয়ে কোনো কারণেই নিজেকে অকৃতার্থ যেন না করে”।

 রবীন্দ্রনাথ এই জাতীয় ভবনটির নামকরণ করিয়াছিলেন—মহাজাতিসদন’ (The abode of the Nation)। আজিও চিত্তরঞ্জন এভিনিউর উপর সুভাষচন্দ্রের মহাজাতিসদনের কঙ্কালখানি অতীতের বিষাদ-মাখা করুণ স্মৃতি বহন করিয়া দাঁড়াইয়া আছে। জাতীয়ভবন প্রতিষ্ঠার সঙ্কল্প সম্পূর্ণ সফল না হলেও সেদিনের সেই ব্যর্থ প্রয়াসই আজ শতগুণ বর্দ্ধিত হইয়া আত্মপ্রকাশ করিয়াছে সুভাষচন্দ্রের আজাদ হিন্দ ফৌজের সংগঠন ও পূর্ব এশিয়ায় স্বাধীন ভারতের অস্থায়ী গবর্নমেণ্ট সংস্থাপনের কার্যে। কলিকাতা মহানগরীর মহাজাতিসদন সম্পূর্ণ না হইলেও ভারতবর্ষের বাহিরে তিনি যে মহাজাতিসংঘ গড়িয়া তুলিয়াছেন ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে তাহা এক সম্পূর্ণ নূতন অধ্যায়ের সংযোজনা করিয়াছে। সেদিনের অসম্পূর্ণ ও পরিতাক্ত মহাজাতিসদন মহাজাতিসংঘে আসিয়া পরিপূর্ণতা লাভ করিয়াছে। বাঙালী জাতির এই সূচনাসার জাতীয় ভবনটি বাঙালীর শোচনীয় অকীর্ত্তি ও অক্ষমতার কথাই স্মরণ করাইয়া দেয়। আজ প্রত্যেক বাঙালীকে এই অসমাপ্ত জাতীয় সৌধের প্রতি তাহাদের দায়িত্বের কথা একবার ভাবিয়া দেখিতে বলি