পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪৪
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র

ও কর্ম্মপদ্ধতির প্রতিনিধিত্ব দাবী করিতে না পারি তবে আমার কোনই মূল্য নাই। অতএব আমার নিকট ইহা সুস্পষ্ট যে, আমি যে নীতি ও কার্য্যপদ্ধতির পরিপোষক, ত্রিপুরী কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা তাহা সমর্থন করেন না। এই পরাজয়ে আমি আনন্দ প্রকাশ করিতেছি।

 দিল্লীতে নিখিল ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতির সভা হইতে সংখ্যালঘিষ্টদলের বাহির হইয়া যাওয়া সম্বন্ধে লিখিত প্রবন্ধে আমি যাহা প্রচার করিয়াছিলাম, সেই নীতি অনুসারে কাজ করিবার এখন আমার একটা সুযোগ হইয়াছে। সুভাষবাবু যাঁহাদিগকে দক্ষিণপন্থা বলেন, এখন তিনি তাঁহাদের অনুগ্রহে সভাপতি না হইয়া প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন দ্বারা নির্ব্বাচিত সভাপতি। ইহার ফলে তিনি একমতাবলম্বী সদস্যগণ দ্বারা গঠিত ওয়ার্কিং কমিটি মনোনয়ন এবং বিনাবাধায় তাঁহার রচিত কর্মপন্থা অনুসারে কার্য্য করিবার ক্ষমতা লাভ করিয়াছেন।

 সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু এই উভয়দলের মধ্যে একটা বিষয়ে মতের মিল আছে। কংগ্রেসের আভ্যন্তরীণ পবিত্রতার জন্য উভয়দলই আগ্রহশীল। হরিজন-পত্রে আমার যে সব লেখা প্রকাশিত হইয়াছে, তাহাতে দেখান হইয়াছে যে, কংগ্রেস অতি দ্রুত একটা দুর্নীতিপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হইতেছে—অর্থাৎ কংগ্রেসের খাতার মধ্যে বহুসংখ্যক ভূয়াসদস্যের নাম রহিয়াছে। বিগত কয়েকমাস ধরিয়া আমি এই সকল খাতা বিশেষ করিয়া সংশোধনের প্রস্তাব করিতেছি। এ বিষয়ে আমি নিঃসন্দেহ যে, এই সকল ভূয়া ভোটারের ভোটে নির্বাচিত বহু সদস্যই পরীক্ষার ফলে অযোগ্য বলিয়া প্রতিপন্ন হইবেন।

 কিন্তু আমি এখন সেইরূপ কোন কঠোর পন্থা অবলম্বনের প্রস্তাব করি না। ভবিষ্যতে কংগ্রেসের খাতাগুলি হইতে যদি সমস্ত ভূয়াসদস্যের নাম কাটিয়া দেওয়া হয় এবং প্রবঞ্চনার পথ রোধের যথাযথ ব্যবস্থা করা হয় তাহা হইলেই যথেষ্ট হইবে। সংখ্যালঘিষ্ট দলের নিরুৎসাহ হইবার