পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র
১৪৯

করিতে হইবে। প্রস্তাব সম্পর্কে সদস্যগণের মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য সভাপতির উপস্থিত থাকা একান্ত প্রয়ােজন; নতুবা তিনি তাঁহার অনুপস্থিতিতেই বৈঠকের আলাপ-আলোচনা চালাইয়া যাইতে নির্দ্দেশ দিতেন। উপায়ান্তর না দেখিয়া সুভাষচন্দ্র সর্দার প্যাটেল ও গান্ধীজীকে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ত্রিপুরী অধিবেশন পর্য্যন্ত স্থগিত রাখিতে অনুরােধ জানাইয়া এক জরুরী তার প্রেরণ করেন। এই তারের যে উত্তর আসিল তা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ও হৃদয়বিদারক। সর্দ্দার প্যাটেল সদলবলে ওয়ার্কিং কমিটির সভ্যপদ ত্যাগ করিলেন। অপরদিকে তাঁহারা রটনা করিয়া দিলেন যে ওয়ার্কিং কমিটির সম্মুখীন হইতে সাহস না থাকায় সুভাষচন্দ্র অসুস্থতার ভান করিয়াছেন! এখানে উল্লেখ করা প্রয়ােজন, ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ত্রিপুরী অধিবেশন পর্য্যন্ত সহজেই স্থগিত রাখা চলিত। সাধারণতঃ নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির অধিবেশনের পূর্বদিন কিংবা মাত্র দুই একদিন পূর্বে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হইয়া থাকে।

 সর্দ্দার প্যাটেলের নেতৃত্বে ওয়ার্কিং কমিটির বারজন দক্ষিণপন্থী সদস্য পদত্যাগ করিলেন। কংগ্রেসের কার্য্যপদ্ধতির কিরূপ পরিবর্ত্তন হইবে তাহা না জানিয়াই ত্রিপুরী কংগ্রেসের পূর্ব্বেই তাঁহাদের এই পদত্যাগ যে শােভন হয় নাই, তাহা বলাই বাহুল্য। পদত্যাগপত্রে তাঁহারা লিখেন, “* * আমরা ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যপদ ত্যাগ করা আমাদের কর্ত্তব্য বলিয়া বিবেচনা করিয়া এতদ্বারা ওয়ার্কিং কমিটির সভ্যপদ ত্যাগ করিতেছি। আমাদের মনে হয়, আপনার মনােমত কর্ম-পরিষদ গঠনে আপনাকে অবাধ স্বাধীনতা দেওয়াই কর্ত্তব্য। মনে হয়, কংগ্রেসের বিভিন্ন দলের আপােষ-নিষ্পত্তির ভিত্তির উপর রচিত কোন কর্মনীতির পরিবর্ত্তে কংগ্রেসের একটা সুস্পষ্ট কর্মনীতি অনুসরণের সময় আসিতেছে। এজন্য আপনার নিজ মতানুবর্ত্তীদের মধ্য হইতে আপনার নিজ কর্মপরিষদের