পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র
১৬৯

ও অনুমোদন লাভ করিয়াছে। আপনি সম্ভবতঃ অবগত আছেন যে, যাঁহারা পন্থ-প্রস্তাবের পক্ষে ভোট সংগ্রহের জন্য প্রচারকার্য্য চালায় তাঁহারা সকলকে এই কথাই বলিয়া বেড়ায় যে রাজকোটের সহিত টেলিফোনযোগে কথাবার্ত্তা হইয়াছে এবং গান্ধীজী তাঁহার পূর্ণ সমর্থন জানাইয়াছেন। ঘরোয়া বৈঠকের আলোচনায় ইহাও প্রকাশ করা হয় যে সম্পূর্ণ পন্থ-প্রস্তাবের উপর কোন সংশোধন বা ছাঁট-কাটেই গান্ধীজী ও তাঁহার গোঁড়া ভক্তগণ সন্তুষ্ট হইবেন না। ব্যক্তিগতভাবে আমি যদিও এই সকল গুজবে বিশ্বাস করি না, কিন্তু এই সকল অমূলক প্রচারকার্য্য ভোট-অর্জ্জনের পক্ষে নিঃসন্দেহে অনেকখানি সহায়তা করিয়াছে।” আশ্চর্য্যের বিষয় এই গুরুতর অভিযোগের উত্তর দেওয়া গান্ধীজী প্রয়োজন বোধ করেন নাই।

 যিনি কংগ্রেসের চার আনার সদস্য থাকিতেও অস্বীকৃত তাঁহাকে প্রস্তাবের দ্বারা কার্য্যতঃ ডিক টেটরের ক্ষমতা দান কতদূর শোভন ও কংগ্রেসের নিয়মতন্ত্র সঙ্গত তাহা বিবেচনা-সাপেক্ষ। মহাত্মা কি কংগ্রেসের চার আনা সদস্য হইতে ও কংগ্রেসের কার্য্যে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত হইতে সম্মত হইতেন? বল্লভ-কোম্পানীর উচিত ছিল পূর্ব্বাহ্ণে গান্ধীজীর নিকট হইতে এ বিষয়ে তাঁহার সম্মতি লাভ করা।

 ১৯৩৪ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর গান্ধীজী কংগ্রেসের কার্য্য হইতে অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। উক্ত ঘোষণায় তিনি বলেন, “কংগ্রেসের স্বাভাবিক বিকাশের পথে আমি সহায়ক না হইয়া অন্তরায় হইয়াছি। কংগ্রেস গণতান্ত্রিক ও প্রতিনিধিমূলক প্রতিষ্ঠান না হইয়া আমার নিজ ব্যক্তিত্বের দ্বারাই সমধিক প্রভাবান্বিত হইয়াছে। এই কারণে কংগ্রেসের মধ্যে সহজ সরল যুক্তির স্বাভাবিক বিকাশলাভের এখন কোন সুযোগ নাই।” কংগ্রেসের বোম্বাই অধিবেশনে গান্ধীজীকে তাঁহার এইরূপ সিদ্ধান্ত সম্পর্কে পুনর্বিবেচনা করিতে অনুরোধ করা হইলে