পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৷৹

কল্পনা জ্ঞানে গান্ধীজীও সার্কাসের অভিনয়ের সহিত তুলনা করিতে তিলমাত্র দ্বিধাবোেধ করেন নাই। বহুদিন পর্য্যন্ত যাহারা ব্যঙ্গভরে সুভাষচন্দ্রকে “জেনারেল অফিসার কমাণ্ডিং”এর সংক্ষেপিতরূপ ‘গক’ (G. O. C.) আখ্যায় আখ্যাত করিয়া আত্মপ্রসাদ লাভ করিয়াছিলেন, আজ তাঁহারাও বিস্ময়ে হতবাক হইয়া গিয়াছেন। শৃঙ্খলিত ও পর-পদানত মাতৃভূমির বন্ধনমুক্তির অত্যুগ্র কামনাই এই অসম্ভবকে সম্ভব করিয়াছে। সেদিন যাঁহারা উপেক্ষাভরে বক্রকটাক্ষ করিয়াছিলেন আজ সুভাষচন্দ্রের প্রতি তাঁহাদের মস্তক আপনা হইতেই শ্রদ্ধানত হইয়া আসিবে। স্বদেশের মুখােজ্জ্বলকারী, সার্থকজন্মা বাঙলার এই বীর সন্তানের অপরিমেয় শৌর্য্য ও মনােবল, অভাবনীয় রণচাতুর্য্য ও সংগঠনশক্তি পশ্চিমের ধুরন্ধর সমরনায়কদেরও ঈর্ষ্যার বস্তু হইয়াছে।

 আজ সমগ্র বাংলা তথা ভারতের অধিবাসী অন্তরের মণিকোঠায় পরমশ্রদ্ধাভরে নেতাজী সুভাষচন্দ্রের অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব ও প্রতিভার ধ্যান করিতেছে। সুভাষচন্দ্রের অমরস্মৃতি ভারতবাসীর জপমালা হইয়াছে। এই বজ্রকঠোর ও কুসুমকোমল কর্ম্মবীরের পূত জীবন-কাহিনী জানিবার আকাঙ্ক্ষা সকলের হৃদয়েই অত্যুগ্র হইয়া উঠিয়াছে। দেশবাসীর এই আকাঙ্ক্ষা পরিতৃপ্তির জন্যই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।